পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Drinking Water-পান করার সুন্নাত সমূহ

ছবি
পান করার সুন্নাত সমূহ ১. পানির পেয়ালা ডান হাত দিয়ে ধরা। (মুসলিম, হাদীস নং- ২০২০) ২. বসে পান করা, বসতে অসুবিধা না হলে দাঁড়িয়ে পান না করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ২০২৪) ৩. বিসমিল্লাহ বলে পান করা এবং পান করে আলহামদুলিল্লাহ বলা। (তাবরানী আওসাতা, হাদীস নং- ৬৪৫২) ৪. কমপক্ষে তিন শ্বাসে পান করা এবং শ্বাস ছাড়ার সময় পানির পাত্র মুখ হতে সরিয়ে নেয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬৩১) ৫. পাত্রের ভাঙ্গা দিক দিয়ে পান না করা। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭২২) ৬. পাত্র যদি এমন হয়, যার ভিতর নজরে আসে না, সেটার মুখে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কারণ, তাতে কোন বিষাক্ত প্রাণী ক্ষতি সাধন করতে পারে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬২৬) ৭. পানি পান করার পর এই দু‘আ পড়া : اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَاتًا بِرَحْمَتِه وَلَمْ يَجْعَلْهُ مِلْحًا اُجَاجًا بِذُنُوْبِنَا . ৮. পানীয় দ্রব্য পান করে কাউকে দিতে হলে ডান দিকের ব্যক্তিকে আগে দেয়া এবং এই ধারাবাহিকতা অনুযায়ীই শেষ করা।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬১৯) ৯. উযু করার পর যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেয়া হয়, সে পাত্রের অবশিষ্ট পানি কিবলা

উযুর ফরয

ছবি
উযুর ফরয ৪টি ১. সমস্ত মুখ একবার ধৌত করা। (সূরা মায়িদা, আয়াত নং ৬) ২. দুই হাত কনুইসহ একবার ধৌত করা। (ঐ) ৩. মাথার এক চতুর্থাংশ একবার মাসাহ করা। (ঐ) ৪. উভয় পা টাখনুসহ একবার ধৌত করা। (ঐ) ফায়দা : উপরোক্ত চারটি কাজের কোন একটি না করলে বা এর মধ্যে এক চুল পরিমাণও শুকনা থাকলে উযু সহীহ হবে না। (প্রমাণ: শামী, ১:৯১/ আল বাহরুর রায়িক, ১:৯/ হিদায়া, ১:১৬) উযুর সুন্নাত সমূহ ১. উযুর নিয়ত করা অর্থাৎ উযুকারী মনে মনে এই নিয়ত করবে যে, পবিত্রতা অর্জন করা ও নামায জায়েয হওয়ার জন্য আমি উযু করছি। (সূরা বায়্যিনাহ, ৫/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬৬৮৯) ২. বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম পড়ে উযু আরম্ভ করা। হাদীসে পাকে আছে, বিসমিল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহ পড়ে উযু করলে যতক্ষণ ঐ উযু থাকবে, ফেরেশতাগণ তার নামে ততক্ষণ অনবরত সাওয়াব লিখতে থাকবে, যদিও সে কোন মুবাহ কাজে লিপ্ত থাকে।(নাসায়ী শরীফ, হাদীস নং-৭৮/ তাবারানী সাগীর, ১ : ৭৩) ৩. উভয় হাত পৃথকভাবে কব্জিসহ তিনবার ধোয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-১৫৯) ৪. মিস্‌ওয়াক করা। যদি মিস্‌ওয়াক না থাকে তাহলে আঙ্গুল দ্বারা দাঁত মাজা মিস্‌ওয়াক অর্ধ হাতের চেয়ে বেশি লম্বা না হওয়া এবং গাছের ডাল হওয়া মুস্তাহ

কাপড় পরিধানের সুন্নাত সমূহ

কাপড় পরিধানের সুন্নাত সমূহ ১. প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাদা কাপড় বেশি পছন্দ করতেন। (মুস্তাদরাক, হাদীস নং-৭৩৭৯) ২. জামা-পায়জামাসহ সকল প্রকার পোশাক পরিধানের সময় ডান হাত ও ডান পা আগে প্রবেশ করানো। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৪১৪১) ৩. পুরুষদের জন্য পায়জামা, লুঙ্গি এবং জামা, জুব্বা ও আবা-কাবা পায়ের টাখনুর উপরে রাখা। টাখনুর নীচে নামিয়ে পোশাক পরিধান করা হারাম। হুযুর সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- ‘যে ব্যক্তি টাখনুর নীচে ঝুলিয়ে কোন পোশাক পরিধান করবে, আল্লাহ ত া‘আলা কিয়ামতের দিন তার প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকাবেন না। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৫৭৮৪/ আবু দাউদ হাদীস নং-৪০৯৩, ৪১১৭/ সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৪৪৭) বি.দ্র. মোজার হুকুম-এর ব্যতিক্রম। ৪. সাধারণভাবে কাপড় পরিধান করার সময় এই দু‘আ পড়া : اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ كَسَانِيْ هَذَا وَرَزَقَنِيْهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّيْ وَلَاقُوَّةْ . (মুস্তাদরাক, হাদীস নং-৭৪০৯) এবং নতুন কাপড় পরিধান করে এই দু‘আ পড়া : اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ كَسَانِيْ مَا اُوَارِيْ بِه عَوْرَتِيْ وَاَتَجَمَّلُ بِه فِيْ حَيَاتِيْ . (তিরমিযী, হাদীস ন

Hijab-মহিলাদের পর্দা

ছবি
মহিলাদের জন্য পর্দা করা ফরজ عن ام سلمۃؓ قالت : کنت عند رسول اللہ ۔ﷺ۔ و میمونۃ‘ فأقبل ابن أم مکتوم حتی دخل علیہ‘ و ذلک بعد أن أمرنا بالحجاب فقال رسول اللہ ۔ﷺ۔ : ’’احتجبا منہ‘‘ فقلنا : یا رسول اللہ! ألیس ہو أعمی لا یبصرنا ولا یعرفنا؟ قال : أفعمیاوان أنتما ألستما تبصرانہ؟ رواہ احمد فی ’’مسندہ ‘‘ ۶؍۳۲۹ (۲۶۵۹۳) والترمذی فی ’’جامعہ‘‘ برقم (۲۷۷۸) کتاب الأدب‘ باب ماجاء فی احتجاب النساء من الرجال. وقال : ھذا حدیث حسن صحیح. অর্থ: হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: আমি ও  হযরত মায়মুনা (রাযিঃ) প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অবস্হান করছিলাম, ইত্যবসরে হযরত ইবনে উম্মে মাকতুম (রাযিঃ) (অন্ধ সাহাবী) এসে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে প্রবেশ করলেন। আর ঘটনাটি ছিল পর্দার ব্যাপারে আমরা আদিষ্ট হওয়ার পরের। যাক, তখন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে লক্ষ্য করে ইবশাদ করলেন: তোমরা তাঁর থেকে পর্দা কর। এতদ্‌শ্রবণে আমরা বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি কি অন্ধ নন? তিনি তো আমাদেরকে দেখতে পাচ্ছেন না। তাছাড়া তিনি তো আমাদেরকে চিনতেও পারছেন ন