জামিয়া রাহমানিয়া বিভক্তি
জামিয়া রাহমানিয়া বিভক্তি : একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ তখন আশির দশক চলছে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আমল। সে সময় বাংলাদেশে ইলম ও উলামায়ে কেরামের মজবুত কেল্লা ছিল—জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ। এখানে উস্তাদ ছিলেন মাওলানা হেদায়াতুল্লাহ রহ., শাইখুল হাদিস মাওলানা আজিজুল হক রহ., মুফতি ফজলুল হক আমিনি রহ., মুফতি মনসুরুল হক দা.বা., মাওলানা হিফজুর রহমান দা.বা., মাওলানা আবদুল গাফফার রহ., মাওলানা আলি আসগর রহ. ও মাওলানা মুজিবুর রহমান সাহেবদের মতো আমাদের সেরেতাজ উলামায়ে কেরাম। আর তাঁদের সকলের মুরুব্বি ছিলেন লালবাগ জামিয়ার প্রতিষ্ঠাতা—হজরত মুহাম্মাদুল্লাহ হাফেজ্জি হুজুর রহ.। সমস্যাটা শুরু হয় ১৯৮১ সালে, হাফেজ্জি হুজুরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকে। লালবাগ মাদরাসার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মাদরাসায় রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু হাফেজ্জি হুজুরের খেলাফত আন্দোলনের ঘাঁটি হয়ে যায় লালবাগ মাদরাসা। এবং স্বাভাবিকভাবেই লালবাগের ছাত্ররা খেলাফত আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এতে পড়াশোনার ক্ষতি হয় বলে মাদরাসা কমিটি আপত্তি করতে থাকে। পরে ১৯৮৬ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়ান হাফেজ্জি হুজুর। প্রথম নির্বাচনে তিনি তৃতীয় স্থান