পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সহজে সাদা দাঁত

ছবি
সহজে সাদা দাঁত লিখেছেন-ডা. সিদ্ধার্থ দেব মজুমদার               সুস্থ, সুন্দর দাঁতের জন্য ছোট–বড় সবারই নিয়মিত দাঁত মাজা দরকার। ছবি: অধুনা মশা মারতে যেমন কামান দাগাতে হয় না, তেমনি দাঁত সাদা করার জন্য রাসায়নিক ব্যবহার না করে সমাধান খুঁজতে পারেন প্রাকৃতিক উপাদানে। দাঁতের ক্ষতি না করে দাঁতের সৌন্দর্য বাড়ানোর সহজাত কিছু কৌশল আজ জেনে নেওয়া যাক। লেবু লেবুর শক্তিতে দূর হয় দাঁতের কালো দাগ। লেবুতে থাকা উপাদানগুলো দাঁত পরিষ্কার রাখতে পারে। সাদা দাঁত পেতে এক টুকরো লেবু নিয়ে তিন থেকে পাঁচ মিনিট দাঁত ঘষলে দাঁতের উজ্জ্বলতা বাড়বে। কলা কলায় শুধু ক্যালরি থাকে না, আছে আরও কিছু গুণ। কলা খাওয়ার পরে খোসাটা না ফেলে দাঁত সাদা কারার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে।। কলার খোসার ভেতর দিকের অংশ দাঁতে ঘষলে দাঁত সাদা হবে। স্ট্রবেরি  স্ট্রবেরিতে ম্যালিক অ্যাসিড নামে একধরনের এনজাইম আছে, যা দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করতে পারে। নিয়মিত স্ট্রবেরি খেলে দাঁত সাদা হবে। নারকেল তেল মুখে নারকেল তেল নিয়ে কুলি করে ফেলে দিন। মুখ ধুয়ে ব্রাশ করে ফেলুন। প্রতিদিন একবার ব্যবহারে দাঁত সাদা হবে। মাশরুম এতে

ওষুধ ছাড়া অসুখ সারা

ছবি
নানা রকম ফলমূল, ভেষজ আর মসলাপাতির আছে ঔষধি গুণ। খাদ্যাভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন এনে এসব খেলে অনেক রোগই প্রতিরোধ করা যায়। সুস্থ থাকা যায়, ওষুধ ছাড়াই। এ রকম কিছু ভেষজ উপাদানের গুণাগুণ নিয়ে লিখেছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা । কাঁচা হলুদের মতো ভেষজের পানীয় সুস্থ থাকতে সহায়তা করে সুস্থ থাকতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে জীবনযাপন করা জরুরি। রোগ হলে ওষুধপথ্য খেতে হয়ই, কিন্তু চাইলে খাবারদাবারে কিছু পরিবর্তন এনে এবং একটু নিয়মকানুন মেনে অনেক রোগবালাই থেকে মুক্ত থাকা যায়। নানা রকম ফলমূল, ভেষজ আর মসলাপাতির আছে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা—ঔষধি গুণ। আমলকী  আমলকীতে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, যা শরীরের অ্যান্টি–অক্সিডেন্টের কার্যকারিতা বাড়ায়। চুল সুস্থ রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমলকী হৃদ্​রোগ প্রতিরোধ এবং ক্যানসারের বিরুদ্ধে কাজ করে। ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা  এটি এমন একটি জনপ্রিয় ভেষজ, যা হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অ্যালোভেরা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করে ও বয়সের ছাপ রোধ করে। এটি শুধু ত্বকের ক্ষত সারাতে নয়, এর আরও অনেক গুণ আছে। এতে আছে অ

মিথ্যুক ধরার উপায়

কেউ মিথ্যা বললে কীভাবে বুঝবেন? মিথ্যা ধরতে চোখের ওপর নজর রাখা যেতে পারে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন স্কটল্যান্ডের গবেষকেরা। তাঁরা মিথ্যা শনাক্ত করার একটি পদ্ধতিও উদ্ভাবন করেছেন। কারও চেহারা চেনার বিষয়ে মিথ্যা বললে খুব সহজেই এ পদ্ধতিতে ধরা যাবে। স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা কম্পিউটার স্ক্রিনে দেখানো ছবির সঙ্গে চোখের নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে মিথ্যা ধরতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন। আজ বুধবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমানে জাপানের পুলিশ বাহিনী এ ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে অপরাধ সম্পর্কে তথ্য বের করে।

ইয়াহুর মেইল জিমেইলে আনবেন কীভাবে

এখন জিমেইলের যুগ। নানা কাজে অনেকেই জিমেইল ব্যবহার করছেন। কিন্তু ইয়াহু কিংবা অন্য মেইল ব্যবহারকারীরা চাইলে তাদের মেইলে আসা বার্তাগুলো জিমেইলে স্থানান্তর করে নিতে পারে। জিমেইলে সে সুবিধা রয়েছে। গুগল ইয়াহু, আউটলুকের মতো মেইল থেকে জিমেইলে মেইল স্থানান্তর করার জন্য বিনা মূল্যের একটি সেবা তৈরি করে রেখেছে। কয়েকটি ধাপে আপনার পুরোনো মেইল থেকে নতুন মেইলে স্থানান্তর করতে পারেন। জেনে নিন ধাপগুলো: ১. জিমেইল অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। ডান কোনায় সেটিংস অপশনে যান। সেটিংস আইকনটিতে ক্লিক করুন। ২. ‘অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ইমপোর্ট’ অপশনে যান। সেখানে ‘ইমপোর্ট মেইল অ্যান্ড কনটাক্টস’ অপশনে ক্লিক করুন। একটি নতুন উইন্ডো পাবেন। ৩. বক্সে অন্য মেইল অ্যাড্রেস টা লিখুন। এবং কন্টিনিউ ক্লিক করুন। ৪. এখানে গুগলের প্রদর্শিত শাটলক্লাউড নীতিমালায় সম্মতি দিতে হবে। পড়ে সম্মতি দেওয়ার পর ‘কন্টিনিউ’ চাপুন। ৫. নতুন উইন্ডো পাবেন। নেক্সট স্টেপে গিয়ে আপনার আইডি–পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। আগে থেকে সাইনইন করা থাকলে এ ধাপ এড়াতে পারেন। ৬. টুলটিকে এরপর আপনার মেইল স্থানান্তরের জন্য অনুমতি দিতে হবে। অনুমতি দিয়ে ‘ইয়েস’ করুন। ৭. টুলটি মেই

মদীনা শরীফ গমন

ছবি
যে কারণে আপনি মদিনা শরিফে যাবেন শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী                                        হাজিরা হজের আগে বা পরে মদিনা শরিফ গিয়ে থাকেন। হাদিস শরিফে এসেছে, মসজিদে নববিতে নামাজ আদায় করলে প্রতি রাকাতে ১০ হাজার, ২৫ হাজার অথবা ৫০ হাজার রাকাতের সওয়াব হয়। মদিনায় নবী করিম (সা.)–এর প্রতিষ্ঠিত প্রথম ইবাদতখানা ‘মসজিদে কোবা’তে দুই রাকাত নামাজ আদায় করলে এক ওমরাহর সওয়াব হয়। মসজিদে নববিতে নিয়মিত ধারাবাহিক ৮ দিন ৪০ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে তাকবিরে উলার সঙ্গে আদায় করলে পাপ মাফ হয়, জাহান্নাম থেকে মুক্ত হয়ে জান্নাত নিশ্চিত হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার মসজিদে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেছে আর কোনো নামাজ কাজা করেনি, সে মোনাফেকি থেকে মুক্ত হবে এবং দোজখের আজাব থেকে নাজাত পাবে’ (মুসনাদে আহমদ, আত-তারগিব ওয়াত-তারহিব)। পবিত্র মক্কা শরিফের পরেই এটি শ্রেষ্ঠ স্থান।  মক্কা শরিফে নামাজ আদায় করলে নিশ্চিত প্রতি রাকাতে এক লাখ রাকাতের সওয়াব। রয়েছে সরাসরি ওমরাহ করার সুযোগও। কাবায় উপস্থিত ব্যক্তিদের জন্য প্রতিনিয়ত ১৩২টি রহমত ও নেকি বর্ষিত হতে থাকে অবিরত। সুতরাং যাঁরা বলেন বেশি সওয়াবের আশায়

তাওয়াফ ও সায়ীর প্রস্তুতি

তাওয়াফ ও সাঈ করার সময় বিশেষভাবে লক্ষণীয়        তাওয়াফের সময় অজু থাকা জরুরি। তবে সাঈ (সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সাতবার যাওয়া আসা করা) করার সময় অজু না থাকলেও সাঈ সম্পন্ন হয়ে যাবে। হাজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়া একটি সুন্নত। তা আদায় করতে গিয়ে লোকজনকে ধাক্কাধাক্কির মাধ্যমে কষ্ট দেওয়া বড় গুনাহ। তাই তাওয়াফকালে বেশি ভিড় দেখলে ইশারায় চুমু দেবেন। ভিড়ে অন্যকে কষ্ট দেওয়া যাবে না।  সাঈ সাফা থেকে শুরু করে মারওয়ায় গিয়ে শেষ হয়। সাফা থেকে মারওয়া প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন চক্কর। এভাবে সাতটি চক্কর সম্পূর্ণ হলে একটি সাঈ পূর্ণ হবে।

হজের সময়ে সাথে কী কী নিতে হয়?

প্রয়োজনীয় মালপত্র                                  হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র সংগ্রহ করা দরকার। যেমন: ১. বিমানের টিকিট, ডলার কেনা, ২. পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, টাকা রাখার জন্য গলায় ঝোলানো ছোট ব্যাগ, ৩. পুরুষের জন্য ইহরামের কাপড় কমপক্ষে দুই সেট (প্রতি সেটে শরীরের নিচের অংশে পরার জন্য আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ এক টুকরা কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ এক টুকরা কাপড়। ইহরামের কাপড় হবে সাদা। সুতি হলে ভালো হয়) আর নারীদের জন্য সেলাইযুক্ত স্বাভাবিক পোশাকই ইহরামের কাপড় ৪. নরম ফিতাওয়ালা স্পঞ্জের স্যান্ডেল, ৫. ইহরাম পরার কাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হলে কটিবন্ধনী (বেল্ট), ৬. গামছা, তোয়ালে, ৭. লুঙ্গি, গেঞ্জি, পায়জামা, পাঞ্জাবি (আপনি যে পোশাক পরবেন), ৮. সাবান, পেস্ট, ব্রাশ, মিসওয়াক, ৯. নখ কাটার যন্ত্র, সুই-সুতা, ১০. থালা, বাটি, গ্লাস, ১১. হজের বই, কোরআন শরিফ, ধর্মীয় পুস্তক, ১২. কাগজ-কলম, ১৩. শীতের কাপড় (মদিনায় ঠান্ডা পড়ে), ১৪. প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, চশমা ব্যবহার করলে অতিরিক্ত একটি চশমা (ভিড় বা অন্য কোনো কারণে ভেঙে গেলে ব্যবহারের জন্য), ১৫.

ইহরাম অবস্থায় নিষিদ্ধ কাজসমূহ

ইহরাম অবস্থায় যেসব কাজ নিষিদ্ধ * সহবাস এবং ওই বিষয়ে কোনো আলোচনা করা যাবে না। * পুরুষদের ক্ষেত্রে কোনো সেলাই করা জামা, পায়জামা ইত্যাদি পরা বৈধ নয়। * কথা ও কাজে কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। * পুরুষদের ক্ষেত্রে মাথা বা মুখ ঢাকা যাবে না; এমনকি টুপিও পরা যাবে না। * নারীদের মাথায় অবশ্যই কাপড় রাখতে হবে। তবে মুখমণ্ডল স্পর্শ করে এমন কাপড় পরবেন না। * নখ, চুল, দাড়ি-গোঁফ ও শরীরের একটি পশমও কাটা বা ছেঁড়া যাবে না। * কোনো ধরনের সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। * কোনো ধরনের শিকার করা যাবে না। * ক্ষতিকারক সব প্রাণী মারা যাবে। ক্ষতি করে না, এমন কোনো প্রাণী মারা যাবে না।

হজ্জের সময়ে দোয়াসমূহ

দোয়াসমূহ মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা ও অন্যান্য দোয়ার স্থানে পড়তে পারেন। ১. ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আফিয়াতা ফীদ দুনইয়া ওয়াল আখিরাতি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফী দীনী ওয়া দুনইয়াইয়া ওয়া আহলী, ওয়া মালী’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ষমা এবং দুনিয়া ও আখিরাতে নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে ক্ষমা এবং আমার দ্বীন ও দুনিয়া, পরিজন ও সম্পত্তির ব্যাপারে নিরাপত্তা চাচ্ছি। ২. ‘আল্লাহুম্মাসতুর ‘আওরাতী ওয়া আমিন রাও‘আতী, আল্লাহুম্মাহ ফিযনী মিম বাইনি ইয়াদায়্যা, ওয়া মিন খালফী, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী, ওয়া ‘আন শিমালী, ওয়া মিন ফাওকী, ওয়া আউযু বিআযমাতিকা আন উগতালা মিন তাহতী’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমার গোপন দোষসমূহ ঢেকে রাখো। আমার ভয়ভীতিকে নিরাপত্তায় পরিণত করো। আমার অগ্রপশ্চাৎ, ডান-বাম এবং ঊর্ধ্ব হতে পতিত বিপদ থেকে আমাকে হেফাজত করো। নিম্নদিক হতে মৃত্যুমুখে পতিত হওয়া থেকে তোমার মাহাত্মে্যর আশ্রয় প্রার্থনা করছি। ৩. ‘আল্লাহুম্মা ‘আফিনী ফী বাদানী, আল্লাহুম্মা ‘আফিনী ফী সাম‘য়ী, আল্লাহুম্মা ‘আফিনী ফী বাসারী, লা ইলাহা ইল্লা আনতা’

দোয়া কবুলের জায়গা

ছবি
দোয়া কবুলের জায়গা পবিত্র মক্কায় কাবা শরিফের বিভিন্ন জায়গায় দোয়া কবুল হয়ে থাকে। সেসব জায়গায় খুব আদব, ভক্তি ও বিনয়ের সঙ্গে খাস দিলে দোয়া করা দরকার। দুনিয়ার যাবতীয় জায়েজ নেক মাকসুদের জন্য দোয়া করা উচিত। * মাতাফ-তাওয়াফ করার স্থানকে মাতাফ বলে। * মুলতাযাম-হাজরে আসওয়াদ থেকে বায়তুল্লাহর দরজা পর্যন্ত স্থান। * হাতিমের মধ্যে। * কাবাঘরের ভেতরে। * জমজম কূপের কাছে (যদিও কূপ এখন বেসমেন্টের নিচে, চাইলেও এখন দেখা যায় না)। * মাকামে ইবরাহীমের কাছে। * সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের ওপর। * সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝখানে। * বায়তুল্লাহর দিকে যখন নজর পড়ে। * রুকনে ইয়ামানি ও হাজরে আসওয়াদের মাঝখানে। * আরাফাতের ময়দানে। * মুজদালিফার ময়দানে। * মিনার ময়দান ও মিনার মসজিদে খায়েফে। * কঙ্কর নিক্ষেপের স্থানে।

ওমরাহ্‌র নিয়ম

ছবি
১. ওমরাহর ইহরাম (ফরজ) · পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেরে গোসল বা অজু করে নিতে হবে · মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরিধান করুন, অন্যটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিন · শুধু ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া পড়ে নিন · তালবিয়া হলো ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে হাজির, আমি তোমার দ্বারে উপস্থিত, আমি হাজির, তোমার কোনো অংশীদার নেই, তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নিয়ামতের সামগ্রী সবই তোমার, (সর্বযুগে ও সর্বত্র) তোমারই রাজত্ব, তোমার কোনো অংশীদার নেই। ২. ওমরাহর তাওয়াফ (ফরজ) · অজুর সঙ্গে ইজতিবাসহ তাওয়াফ করুন। ইহরামের চাদরকে ডান বগলের নিচের দিক থেকে পেঁচিয়ে এনে বাঁ কাঁধের ওপর রাখাকে ‘ইজতিবা’ বলে। তাওয়াফ · হাজরে আসওয়াদকে সামনে রেখে তার বরাবর ডান পাশে দাঁড়ান ( ডান পাশে তাকালে সবুজ বাতিও দেখতে পাবেন)। এরপর দাঁড়িয়ে তাওয়াফের নিয়ত করুন। তারপর ডানে গিয়ে এমনভাবে দাঁড়াবেন, যেন হাজরে আসওয়াদ পুরোপুরি

তামাত্তু হজ্জের নিয়ম

ছবি
১. ওমরাহর ইহরাম (ফরজ) · পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেরে গোসল বা অজু করে নিতে হবে · মিকাত অতিক্রমের আগেই সেলাইবিহীন একটি সাদা কাপড় পরিধান করুন, অন্যটি গায়ে জড়িয়ে নিয়ে ইহরামের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়ে নিন · শুধু ওমরাহর নিয়ত করে এক বা তিনবার তালবিয়া পড়ে নিন · তালবিয়া হলো ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার দরবারে হাজির, আমি তোমার দ্বারে উপস্থিত, আমি হাজির, তোমার কোনো অংশীদার নেই, তোমার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। নিশ্চয়ই সকল প্রশংসা ও নিয়ামতের সামগ্রী সবই তোমার, (সর্বযুগে ও সর্বত্র) তোমারই রাজত্ব, তোমার কোনো অংশীদার নেই। ২. ওমরাহর তাওয়াফ (ফরজ) · অজুর সঙ্গে ইজতিবাসহ তাওয়াফ করুন। ইহরামের চাদরকে ডান বগলের নিচের দিক থেকে পেঁচিয়ে এনে বাঁ কাঁধের ওপর রাখাকে ‘ইজতিবা’ বলে। তাওয়াফ · হাজরে আসওয়াদকে সামনে রেখে তার বরাবর ডান পাশে দাঁড়ান ( ডান পাশে তাকালে সবুজ বাতিও দেখতে পাবেন)। এরপর দাঁড়িয়ে তাওয়াফের নিয়ত করুন। তারপর ডানে গিয়ে এমনভাবে দাঁড়াবেন, যেন হাজরে আসওয়াদ পুরোপ

যিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল

ছবি
যিলহজ্জ মাস পবিত্র হজ্জব্রত পালনের মাস। এ মাসে হাজ্জীরা পবিত্র হজ্জব্রত পালনের উদ্দেশ্যে সারাবিশ্ব থেকে পবিত্রভুমি মক্কায় জড়ো হয়। লাব্বায়েক ধ্বনিতে মুখরিত করে তোলে আকাশ-বাতাস। এ মাসের প্রথম ১০ দিন আল্লার কাছে বেশ প্রিয়, এ বিষয়ে হাদীসে পাকে নবীজি (সঃ) এরশাদ করেন, যিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০দিনের আমল আল্লাহর নিকট বছরের যেকোন সময়ের আমল অপেক্ষা প্রিয় । তবে ঐ ব্যক্তির কথা আলাদা, যে ব্যক্তি জান্-মাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে শহীদ হয়েছে। এ মাসের আমল সমূহের মধ্যে রয়েছে (ক) তাকবীর (খ) তাহলিল (গ) তাজবিদ। এ আমলগুলো দিন বা রাতের যেকোন সময় করা যায়। এছাড়া রাতের নামায অনেক গুরুত্বপূর্ণ , সালাতুত-তাসবীহ আদায় করলে ভালো। এ মাসে এমন একটি দিন আছে। যে দিন হাজ্বীরা আরাফাত ময়দানে একত্রিত হয়ে হজ্জের ফরজ আদায় করেন। এই দিনেই মহান আল্লাহ্‌ একত্রে সবচাইতে বেশী লোককে ক্ষমা করে দেন। এই দিনের রোযা রাখা দুই বছরের গুনাহর কাফফারা। অর্থাৎ আরাফাত দিবসের রোযা ফলে আল্লাহ্‌ রোযাদারের গতবছর এবং আগামী বছরের  গুনাহ মাফ করে দেন। আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন। -আমিন