পোস্টগুলি

জুলাই, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাংলাদেশীদের মীকাত কোথায়?

ছবি
বাংলাদেশীদের মীকাত: বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্থান থেকে আকাশ পথে গমনকারীদের বিমান করনুল মানাযিল ও যাতুইরক বরাবর হয়ে মীকাতের সীমানায় প্রবেশ করে বলে প্রতীয়মান হয় এবং বিমান জেদ্দা অবতরণের সাধারণত ২০/২৫ মিনিট পূর্বে মীকাতের সীমানায় প্রবেশ করে। এ জন্য আকাশ পথে গমনকারীদের নিজ বাসা, বিমানবন্দর কিংবা বিমান জেদ্দায় অবতরণের কমপক্ষে ২০-২৫ মি. পূর্বে ইহরাম বেঁধে নিতে হবে, অন্যথায় দম ওয়াজিব হয়ে যাবে। জাওয়াহিরুল ফিক্হ ১/৪৬৫, আহকামে হজ্ব ৩৭-৪২ ‘হারাম’ এর পরিচয়: হযরত ইবরাহীম আ. জিবরাঈল আ. এর মাধ্যমে বাইতুল্লাহ শরীফের চারিদিকে কিছু এলাকা নির্ধারণ করে  দিয়েছেন। তাঁর নির্ধারণকৃত সীমানাকে ‘হারাম’ বলে । এই সীমানার ভিতরের গাছগাছালি কাটা, পশুপাখি ধরা বা মারা এবং এখানে যুদ্ধবিগ্রহ করা নিষেধ। ইহরাম অবস্থায় হোক বা ইহরাম ছাড়া । মানাসিক ৩৮৬-৮৭ বর্তমানে হারামের সীমানায় বিশেষ আলামাত দেওয়া আছে। নিম্নে বাইতুল্লাহর চতুর্পার্শ্বের হারামের সীমানা উল্লেখ করা হলো: ১. তানঈম: মদীনার পথে অবস্থিত, এখানে ‘মসজিদে আয়েশা’ নামে একটি মসজিদ আছে। মসজিদে হারাম থেকে এই স্থানের দূরত্ব সাড়ে সাত কি.মি.। ২. নাখলাহ: মক্কা থেকে তায়েফ যাওয়ার পথ

মিকাত সীমানা

ছবি
মসজিদ আল-হারামের একটি বাতি  মীকাত প্রসঙ্গ: যারা মক্কা মুকাররমার উদ্দেশ্যে বের হবে, তাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করার আগে ইহরাম বেঁধে নেওয়া  ওয়াজিব। ঐ নির্ধারিত স্থানকেই মীকাত বলে। কেউ যদি ইহরাম ছাড়া মীকাত অতিক্রম করে, তাহলে আবার মীকাতে ফিরে এসে ইহরাম বাঁধতে হবে, অন্যথায় দম ওয়াজিব হবে। মীকাত মোট পাঁচটি: ১. ‘যুলহুলাইফা’ মদীনা বা উত্তর দিক থেকে আগমনকারীদের জন্য। এখানে ‘মসজিদুল মীকাত’ নামে একটি শানদার মসজিদ আছে। নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিদায় হজ্বের জন্য এখান থেকে ইহরাম বেঁধেছিলেন। এখান থেকে মক্কা মুকাররমার দূরত্ব ৪১০ কি.মি.। ২. ‘জুহফা’ (বর্তমান নাম ‘রাবিগ’) সিরিয়া ও মিসর তথা পশ্চিম দিক থেকে আগমনকারীদের জন্য। এখান থেকে মক্কা মুকাররমার দূরত্ব ১৮৭ কি.মি.। ৩. ‘করনুল মানাযিল’ (বর্তমান নাম ‘আসসাইল’) নজদ এবং পূর্ব দিক থেকে আগমনকারীদের জন্য। এখান থেকে মক্কা শরীফের দূরত্ব প্রায় ৮০ কি.মি.। ৪. ‘ইয়ালামলাম’ (বর্তমান নাম ‘সা‘দিয়া’) ইয়ামান এবং দক্ষিণ দিক থেকে আগমনকারীদের জন্য। এখান থেকে মক্কা শরীফের দূরত্ব প্রায় ১২০ কি.মি. কিংবা তার চেয়ে কিছু বেশি। ৫. ‘যাতুইরক’ ইরাক এবং উত

ইদ্দত অবস্থায় হজ্জ নয়

ইদ্দত অবস্থায় থাকলে: যদি কোনো মহিলা স্বামীর মৃত্যুর কারণে বা তালাকের কারণে ইদ্দত অবস্থায় থাকে তাহলে তার জন্য ইদ্দত শেষ হওয়ার আগে হজ্বের সফরে বের হওয়া জায়িয নেই। তথাপি কেউ যদি এই আবস্থায় গিয়ে হজ্ব করে ফেলে তাহলে তার ফরয আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু সে ইদ্দত অবস্থায় সফর করার কারণে গুনাহগার হবে।(রদ্দুল মুহতার ২/৪৬৫)

মহিলাদের হজ্ব

ছবি
মহিলাদের হজ্ব ফরয হওয়ার শর্ত: প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই পরিমান টাকা-পয়সা বা জমিজমা থাকা যা দিয়ে নিজের এবং একজন মাহরামের হজ্বে যাওয়া-আসা ও থাকা-খাওয়ার যাবতীয় খরচ বহন সম্ভব হয়। কোনো মহিলার যথেষ্ট সম্পদ আছে কিন্তু সাথে যাওয়ার মতো কোনো মাহরাম নেই। তাহলে তার উপর হজ্ব ফরয হবে না। কোনো মহিলার মাহরাম হজ্বে যাচ্ছে সেও তার সাথে হজ্বে চলে গেল, এক্ষেত্রে সে তার মাহরামকে কোনো খরচ না দিলেও তার ফরয আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৪৬৪ যাকারিয়া কুতুব খানা) * যদি কারো স্ত্রীর উপর হজ্ব ফরয হয়ে যায়, আর সে হজ্বে যাওয়ার জন্য কোনো মাহরামও পেয়ে যায় (যেমন ছেলে, পিতা, চাচা, ভাই, মামা, এদের মধ্য থেকে কাউকে) তাহলে স্বামী তাকে হজ্বে যেতে নিষেধ করতে পারবে না। তবে নফল হজ্বের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীকে যেকোনো মাহরামের সাথে যেতে নিষেধ করতে পারবে। আর স্ত্রীও উক্ত নিষেধাজ্ঞা মানতে বাধ্য থাকবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৪৬৫ যাকারিয়া) মাহরাম কারা?:  যাদের সাথে কখনো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ হয় না তারাই মাহরাম । যেমন: পিতা,পুত্র, আপন ও সৎ ভাই,  দাদা-নানা, আপন চাচা ও মামা, ছেলে বা মেয়ের ঘরের নাতি এবং তাদের ছেলে, জামাতা, শ্বশুর, দ

হজ্ব ফরয হওয়ার শর্ত

ছবি
কার উপর হজ্ব ফরয: যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্বে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্বকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্ব করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮) * হজ্ব যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্ব বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্ব আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬) মহিলাদের হজ্ব ফরয হওয়ার শর্ত: প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই পরিমান টাকা-পয়সা বা জমিজমা থাকা যা দিয়ে নিজের এবং একজন মাহরামের হজ্বে যাওয়া-আসা ও থাকা-খাওয়ার যাবতীয় খরচ বহন সম্ভব হয়। কোনো মহিলার যথেষ্ট সম্পদ আছে কিন্তু সাথে যাওয়ার মতো কোনো মাহরাম নেই। তাহলে তার উপর হজ্ব ফরয হবে না। কোনো মহিলার মাহরাম হজ্বে যাচ্ছে সেও তার সাথে হজ্বে চলে গেল, এক্ষেত্রে সে তার মাহরামকে কোনো খরচ না দিলেও তার ফরয আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৪৬৪ যাকারিয়া কুতুব খানা) * যদি কারো স্ত্রীর উপর হজ্ব ফরয হয়ে যায়, আর সে হজ্বে যাওয়ার জন্য কোনো মাহ

হজ্জ না করার শাস্তি

ছবি
সামর্থ থাকা সত্বেও হজ্ব না করার ব্যাপারে ধমকি * قال النبى صلى الله عليه وسلم: من لم يمنعه من الحج حاجة ظاهرة اوسلطان جائر او مرض حابس فمات ولم يحج فليمت إن شاء يهوديا او نصرانيا. নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: কোনো ব্যক্তির জন্য বাহ্যিক প্রয়োজন, অত্যাচারী বাদশাহ কিংবা মারাত্মক অসুস্থতা যদি হজ্বে যাওয়ার প্রতিবন্ধক না হয়, আর সে হজ্ব না করেই মারা যায়, তাহলে সে যেন ইহুদী কিংবা খৃষ্টান হয়ে মরে (এতে আমার কোনো পরওয়া নেই)। (সুনানে দারেমী হা.নং ১৭৮৬.) * عن أبى هريرة رضى الله عنه عن النبى صلى الله عليه وسلم قال: أن الله تعالى يقول: إن عبدا صححت له جسمه ووسعت عليه فى المعيشة تمضى عليه خمسة أعوام لايغدو الى لمحروم. হযরত আবূ হুরাইরা রা. এর সূত্রে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন: এমন বান্দা যাকে আমি সুস্থ শরীর দিয়েছি এবং যার জন্য আমি প্রশস্থ জীবিকার ব্যবস্থা করেছি তার উপর যদি পাঁচটি বছর এমন অবস্থায় অতিবাহিত হয়ে যায় যে, সে আমার ঘরে আসল না, তাহলে অবশ্যই সে (আমার নৈকট্য থেকে) মাহরূম। (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ ৩/৩৫৬) এই হাদীসের কারণে উলামায়ে কে

fajayele Hajj (হজ্জের লাভ)

ছবি
হজ্ব ও উমরার ফাযায়েলঃ *عن ابن عمر رضى الله عنه أن رسول لله صلى الله عليه وسلم قال: بنى الاسلام على خمس: شهادة أن لا اله الا الله, وأن محمدا رسول الله, وإقام الصلاة, وإيتاء الزكاة, وحج البيت, وصوم رمضان. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর, এ কথার সাক্ষ্য দান করা যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মা‘বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার রাসূল, নামায কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, বাইতুল্লাহর হজ্ব করা, রমযানে রোযা রাখা। (বুখারী হা.নং ৮) * عن أبى هريرة رضى الله عنه قال: سئل النبى صلى الله عليه وسلم: أي العمل أفضل؟ قال: إيمان بالله ورسو له, قيل ثم ماذا؟ قال: الجهاد فى سبيل الله, قيل ثم ماذا؟ قال حج مبرور. হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো: কোন আমল বেশি ফযীলতপূর্ণ? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা। বলা হলো এরপর কোন আমল বেশি ফযীলত রাখে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। আবার বলা হলো এরপর কোন আমল বেশি ফয

হজ্জের সময়ে সাথে নিবেন (Carry On Hajj)

ছবি
হজ্বের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী: হজ্বের সফরকারীর জন্য যে-সব সামান সাথে নেওয়া উচিত তার একটা তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো: ১.পাসপোর্ট ২.ভিসা ৩.বিমানের টিকেট ৪.ডলার / রিয়াল ৬.মাঝারী একটি ব্যাগ বা লাগেজ ৭.ছোট একটি ব্যাগ (মিনায় সামান নেওয়ার জন্য) ৮.হাজীবেল্ট ৯.গলায় ঝুলিয়ে রাখার মতো একটি ব্যাগ যাতে পাসপোর্ট, টিকেট ও হজ্বের মাসায়েল সংক্রান্ত— বই রাখা যায়। ১০.দুই সেট ইহরামের কাপড়। (তিন গজ করে আড়াই হাত পানার দুই পিস গায়ের ও আড়াই গজ করে আড়াই হাত পানার দুই পিস লুঙ্গির মত পরার জন্য। ইহরামের কাপড় সাদা হওয়া ভালো। লুঙ্গির মতো যেটা পরা হবে সেটা মোটা হওয়া উচিত।) ১১. ৩/৪ সেট সেলোয়ার-পাঞ্জাবী। লুঙ্গি, গেঞ্জি, গামছা, টুপি, পকেটরুমাল প্রভৃতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ১২. মহিলাদের জন্য নিজেদের ব্যবহারের সবধরনের কাপড় এবং পর্দা করার জন্য বড় চাদর ও রশি। চাদর বা পাতলা কাঁথা। ১৩. শীতের মৌসুম হলে প্রয়োজনীয় শীতের কাপড়। ১৪. ছোট একটি চাকু, নখ কাটার মেশীন, মোচ কাটার কাঁচি, ব্লেড, ছোট আয়না, সুঁই-সূতা। (লৌহজাত দ্রব্য গুলো বিমানে বড় ব্যাগে দিয়ে দিবে। নিজের সাথের ব্যাগে রাখবে না।)