হজ্ব ফরয হওয়ার শর্ত

কার উপর হজ্ব ফরয: যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্বে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্বকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্ব করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)
* হজ্ব যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্ব বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্ব আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
মহিলাদের হজ্ব ফরয হওয়ার শর্ত: প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই পরিমান টাকা-পয়সা বা জমিজমা থাকা যা দিয়ে নিজের এবং একজন মাহরামের হজ্বে যাওয়া-আসা ও থাকা-খাওয়ার যাবতীয় খরচ বহন সম্ভব হয়। কোনো মহিলার যথেষ্ট সম্পদ আছে কিন্তু সাথে যাওয়ার মতো কোনো মাহরাম নেই। তাহলে তার উপর হজ্ব ফরয হবে না। কোনো মহিলার মাহরাম হজ্বে যাচ্ছে সেও তার সাথে হজ্বে চলে গেল, এক্ষেত্রে সে তার মাহরামকে কোনো খরচ না দিলেও তার ফরয আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৪৬৪ যাকারিয়া কুতুব খানা)
* যদি কারো স্ত্রীর উপর হজ্ব ফরয হয়ে যায়, আর সে হজ্বে যাওয়ার জন্য কোনো মাহরামও পেয়ে যায় (যেমন ছেলে, পিতা, চাচা, ভাই, মামা, এদের মধ্য থেকে কাউকে) তাহলে স্বামী তাকে হজ্বে যেতে নিষেধ করতে পারবে না। তবে নফল হজ্বের ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রীকে যেকোনো মাহরামের সাথে যেতে নিষেধ করতে পারবে। আর স্ত্রীও উক্ত নিষেধাজ্ঞা মানতে বাধ্য থাকবে। রদ্দুল মুহতার ৩/৪৬৫ যাকারিয়া

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়পুর রচনা

সোনারগাঁও রচনা

প্রতীক, সংকেত, যোজনী