পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পবিত্র আশুরা

ত্যাগের মহিমা ছড়াক সবখানে পবিত্র আশুরা   মহররম মাসের ১০ তারিখ—পবিত্র আশুরা। মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে গভীর শোকের দিন। এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে চক্রান্তকারী ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে কারবালা প্রান্তরে মর্মান্তিকভাবে শাহাদত বরণ করেন। একদিকে শোক, অন্যদিকে হত্যা ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে অনড় অবস্থানের অতি উজ্জ্বল এই দৃষ্টান্ত বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের কাছে অমর হয়ে আছে। ইসলামের ইতিহাসে মহররমের ১০ তারিখ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারবালা প্রান্তরে পরিবার-পরিজন, সঙ্গীসাথিসহ হজরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর শাহাদত বরণের মর্মান্তিক ঘটনার আগেও এই তারিখে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। ইসলাম ধর্মের ভাষ্যমতে, আদি মানব হজরত আদম (আ.) এই দিনে পৃথিবীতে আগমন করেন, তাঁর তওবা কবুল হয় এই দিনেই। এই দিনে হজরত নুহ (আ.)-এর নৌকা মহাপ্লাবন থেকে রক্ষা পায়। তবে মুসলমানরা দিবসটি পালন করে মূলত কারবালা প্রান্তরের সেই মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে। মুয়াবিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে ইয়াজিদ অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেন এবং এ জন্য ষড়

নামাজের সময়-namajer somoy

https://habibur.com/salat/districts/dhaka/

কত অবশিষ্ট থাকবে?

ছবি
কত অবশিষ্ট থাকবে? গণিতে ৯ একটি বেশ রহস্যময় সংখ্যা। বরিস এ কোরডেস্কি তাঁর ‘দা মস্কো পাজলস’ বইয়ে এ বিষয়ে চমৎকারভাবে লিখেছেন। এর কিছু আমরা জানি স্কুলের গণিত বই থেকেই। কিন্তু ৯ নিয়ে মজার কিছু তথ্য অনেকেই জানি না। তাঁরা কোরডেস্কির বইটি পড়তে পারেন। আমরা তো জানি কোনো সংখ্যা ৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য কি না, তা বের করার সহজ উপায় হলো প্রথমে সংখ্যার অঙ্কগুলোর যোগফল বের করি। এই যোগফল যদি ৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য হয়, তাহলে পুরো সংখ্যাটি ৯ দিয়ে বিভাজ্য। ভাগফল যদি এক অঙ্কের বেশি হয় তাহলে তার অঙ্কগুলো আবার যোগ করতে হবে। এভাবে শেষ পর্যন্ত যোগফল ৯ হলে বুঝব পুরো সংখ্যাটি ৯ দিয়ে বিভাজ্য। যেমন ৯ × ৭৯৩৪ = ৭১৪০৬। এই সংখ্যাটি ৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য, কারণ সংখ্যাটি ৯-এর গুণিতক। এখন সংখ্যাটির অঙ্কগুলোর যোগফল পরীক্ষা করে দেখি ৯ দিয়ে বিভাজ্যতার নিয়মটি খাটে কি না। অঙ্কগুলোর যোগফল = (৭+ ১ + ৪ + ০ + ৬) = ১৮। এর অঙ্কগুলোর যোগফল = (১ + ৮) = ৯। সুতরাং আমরা বলতে পারি ৭১৪০৬ সংখ্যাটি ৯ দিয়ে নিঃশেষে বিভাজ্য। আরেকটি মজার ব্যাপার দেখুন। আমরা স্কুলে নামতা মুখস্থ করতাম। কিন্তু মুখস্থ না করেও শুধু হাতের আঙুল ব্যবহার

নামাজের প্রতি যত্মবান হই

ছবি
নামাজের প্রতি যত্মবান হই      ঈমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত নামাজ। অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে নামাজের কিছু ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নামাজ ফরজ হয়েছে মেরাজের রাতে আল্লাহ পাকের আরশে। সে রাতে আল্লাহ পাক ৫০ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে আসার পথে হযরত মূসা আ.-এর সঙ্গে দেখা হয়। তিনি ৫০ ওয়াক্তের চেয়ে কমিয়ে নেয়ার পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর দরবারে ফিরে যান। আল্লাহ তায়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কমিয়ে দেন। আবারও দেখা হয় হযরত মূসা আ.-এর সঙ্গে। তিনি আরও কমিয়ে আনতে বলেন। এভাবে ৯ বার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে গিয়েছেন আর প্রতিবারই পাঁচ ওয়াক্ত করে কমানো হয়। অবশেষে ৪৫ ওয়াক্ত কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ করা হয়। এরপর আল্লাহ পাক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লক্ষ্য করে ইরশাদ করেন : আমার কাছে যখন কোনো বিষয়ের ফয়সালা হয়ে যায় তখন তা আর পরিবর্তন হয় না। অতএব, এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের বিনিময়ে পঞ্চাশ ওয়াক্তেরই সওয়াব প্রদান করা হবে। -জামে তিরমিযী : ২২১। নামাজের দ্বারা গোনাহ মাফ হয় : সহ

মিসওয়াকের গুরুত্ব ও উপকারিতা

ছবি
মিসওয়াকের গুরুত্ব ও উপকারিতা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী |  দাঁত আল্লাহপাকের এক বিশাল অনুগ্রহ এবং মানব দেহের অত্যাবশ্যক অঙ্গ। আর এটাই মুখমন্ডলের সৌন্দর্যের নিশ্চয়তা দানকারী। দাঁত খাদ্যকে গুড়ো করে পাতলা করে দেয়। তারপর এই খাদ্য মুখের লালার সাথে মিশ্রিত হয়ে পেটে চলে যায় এবং অতি সহজে পরিপাক হয়ে উঠে। দাঁত পরিষ্কার না থাকাতে দাঁতে ও দাঁতের মাড়িতে নানানধরনের রোগ দেখা দেয়। তথাপি চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে পাকস্থলী নষ্ট হয়ে যায় এবং খাদ্য ভালোভাবে পরিপাক লাভ করতে পারে না। এমনিভাবে দেহ ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে, পরে বিভিন্ন ব্যাধির শিকার হতে হয়। এই জন্যই বর্তমান বিশ্বে আমেরিকা ও অন্যান্য উন্নত দেশ দন্ত চিকিৎসার গবেষণায় উন্নত পর্যায়ে রয়েছে। এসব দেশে রেডিও টেলিভিশনের মত প্রচার মাধ্যমগুলোতে দাঁত যত্মের বিভিন্ন উপায় নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। দাঁত ও দাঁতের মাড়ির নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতা, শল্যচিকিৎসা এবং অন্যান্য খাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করে থাকে এসব দেশ। যেমন ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৯৫৭ সালের এক রিপোর্ট মতে জানা যায় তাদের দে

মসজিদের আদব ও শিষ্টাচার

ছবি
মসজিদের আদব ও শিষ্টাচার মসজিদ মুমিন মুসলমানদের নিকট পবিত্রতম স্থান। এবাদত-বন্দেগী করার স্থান, আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন হওয়ার স্থান, একান্তভাবে আল্লাহর নিকট আত্মসমর্পণের স্থান। এই মসজিদের আদব রক্ষা করা প্রত্যেক ঈমানদারেরই আবশ্যিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায় যে, মসজিদের আদব কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভরশীল। এর মধ্যে রয়েছে- (ক) মসজিদের তাজিম করা। (খ) মসজিদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। (গ) মসজিদে প্রবেশকালে দোয়া পড়া ‘আল্লাহুম্মাফ তাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা’। অতঃপর দু’রাকাত নফল নামাজ আদায় করা। (ঘ) মসজিদ পরিচ্ছন্ন রাখা, খুশবুদার রাখা (অর্থাৎ, সুগন্ধিযুক্ত রাখা)। (ঙ) মসজিদে এমন কোনো কাজ করা হতে বিরত থাকা যা মসজিদে ইবাদতকারীদের বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। (চ) মসজিদ থেকে হারানো কোনো বস্তুর ঘোষণা না দেয়া। এ প্রসঙ্গে নবী করিম সা. বলেছেন, কেউ যদি কোনো ব্যক্তিকে তার হারানো বস্তুর ঘোষণা মসজিদ থেকে দিতে শুনতে পায়, তাহলে তার কর্তব্য হলো এ কথা বলা যে, আল্লাহ তোমাকে সে হারানো বস্তু ফিরিয়ে না দিক। কারণ মসজিদ এ জন্য নির্মাণ করা হয়নি। (ছ) মসজিদে কেনা-বেচা ন

হজ-পরবর্তী জীবন কেমন হওয়া উচিত-২

ছবি
হজ-পরবর্তী জীবন কেমন হওয়া উচিত-২     গত নিবন্ধে আমরা হজের পর করণীয় আলোচনা করতে গিয়ে নামাজ, রোজা ও জাকাতের নির্দিষ্ট কিছু ফজিলত সম্পর্কে কথা বলেছিলাম। তেমনিভাবে কোরআন ও হাদিসে নামাজ, রোজা ও জাকাতের নির্দিষ্ট ফজিলতেরই উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু হজের ফায়দা বর্ণনা করতে গিয়ে শুধু বলা হয়েছে- অর্থ : ‘যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থানসমূহে উপস্থিত হয়।’ -সূরা হজ : ২৮ এখানে নামাজ-রোজার মতো হজের কোনো নির্দিষ্ট ফায়দা উল্লেখ করা হয়নি; বরং শুধুমাত্র সশরীরে সেখানে উপস্থিত হয়ে তা সরাসরি উপলব্ধি করতে বলা হয়েছে। এতে বোঝা যায় যে, হজের ফায়দা কাউকে বলে বোঝানোর মতো নয়। কারো থেকে শুনেও তা বোঝা যাবে না। এটি শুধু অনুভূতি দিয়ে বোঝার বিষয়। এ জন্যই মানুষ এ সময়ে তার অভ্যন্তরীণ পরিবর্তন অনুভব করতে পারে। তার চিন্তা-ধারা, কার্যকলাপে সে পরিবর্তন লক্ষ করে। আর এর প্রতিফলন ঘটে তার বাস্তব জীবনে। এমনকি তার আগ্রহ-উদ্দীপনার ধারা পরিবর্তিত হয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম হয়ে ওঠে। আর সে নিজেও অনুধাবন করতে পারে যে, এখন সে আর আগের সেই মানুষটি নেই, এখন সে সম্পূর্ণ ভিন্ন কেউ হয়ে গেছে। এখানে একটি কথা জেনে নেয়া উচিত
ছবি
হজ-পরবর্তী জীবন কেমন হওয়া উচিত-১           হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যে পাঁচটি বিষয়ের ওপর ইসলামের মূল ভিত্তি, তার পঞ্চমটি হলো হজ। তবে নামাজ, রোজা থেকে হজের বিধানটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেননা, এটি মুসলমানের ওপর প্রতিদিন অথবা প্রতি বছর ফরজ হয় না; বরং জীবনে মাত্র একবারই ফরজ হয়ে থাকে। আর বস্তুত হজ পালন আল্লাহর প্রতি বান্দার অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। হজের পুরো ব্যাপারটিই মূলত আল্লাহর এক অনুগত বান্দা নবী হজরত ইবরাহীম আ.-এর স্মৃতিচারণ। যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন পূর্ণ সফলতার সঙ্গে। পবিত্র কুরআন মজীদে যার বর্ণনা এসেছে। আল্লাহর প্রতি তার এই অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মহা ত্যাগ আল্লাহর দরবারে এতই কবুল হয়েছিল যে, পরবর্তী নবীর উম্মতের জন্যও সে পাগলপারা বান্দার রূপ ও বেশভূষা ধারণ করা ইবাদতের অংশ বানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ ভালোবাসার টানে, জিয়ারতে বাইতুল্লাহর ঈমানী আকর্ষণে ছুটে আসে হজ পালনে। ইযার পরনে গায়ে চাদর জড়িয়ে ফকিরের বেশে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাববাইক... ধ্বনিতে

ধৈর্যশীলদের প্রতিদান ও মর্যাদা

ছবি
ধৈর্যশীলদের প্রতিদান ও মর্যাদা             ধৈর্যশীলদের নিয়ে গত আলোচনার অধিকাংশ আয়াতে ধৈর্যধারণের নির্দেশ ও তার উপদেশ দানের সাথে সাথে তার প্রতিদান ও শুভ পরিণতির প্রতি ইঙ্গিত বিদ্যমান, তথাপি বিশেষভাবে সবরের প্রতিদান ও পরিণতি সংক্রান্ত দু-চারটি আয়াত আরো উদ্ধৃত করা হলো। সূরা রা’দের এক স্থানে সেসমস্ত বান্দার বিশেষ গুণ-বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করা হয়েছে, যাদের প্রতি আল্লাহ তায়ালার সবিশেষ আশীর্বাদ বর্ষিত হবে। এ প্রসঙ্গে সেসব বান্দার একটি বিশেষ অবস্থা এ-ও বর্ণনা করা হয়েছে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্বেষায় যেসব লোক (সর্বপ্রকার অমনোপূত ও কঠোরতায়) ধৈর্যধারণ করেছে।’ (সূরা রা’দ : আয়াত ২২) ধৈর্যশীলদের পারলৌকিক পরিণতি বর্ণনা প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর হ্যাঁ, (জান্নাতে) তাদের ঘরের প্রত্যেক দরজা দিয়ে ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে তাদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য এবং বলবে, তোমাদের প্রতি সালাম। কারণ, পৃথিবীতে তোমরা সবরকে নিজেদের আদর্শ করে নিয়েছিলে। কতই না উত্তম আখেরাতের এ ঠিকানা।’ (সূরা রা’দ : আয়াত ২৩-২৪)। সূরা আল ইমরানে জান্নাতবাসী বান্দাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা প্রসঙ্গে সর্বপ্রথম তাদের সবর গু

সত্যবাদিতা ও সততা

ছবি
সত্যবাদিতা ও সততা উবায়দুর রহমান খান নদভী |     কোরআন মাজীদ থেকে যেসব চরিত্র-বৈশিষ্ট্যের বিপুল গুরুত্ব ও মহত্ত¡ প্রতীয়মান হয়, তন্মধ্যে একটি হলো সত্যবাদিতা ও সততা। তাছাড়া কোরআন মাজীদ থেকেই বোঝা যায়, সত্যবাদিতা ও সততার অর্থ শুধু এই নয় যে, মুখেই শুধু ভুল ও বাস্তবতার পরিপন্থী কথা বলবে না এবং সত্য কথা বলবে; বরং এর বলয় অত্যন্ত ব্যাপক। এতে অন্তরের সত্যতা ও কর্মের সত্যতাও অন্তর্ভুক্ত। অন্তরের সত্যতা হলো, তাতে কোনো রকম মুনাফেকী ও প্রতারণা না থাকা। আর কর্মের সত্যতা হলো, যেমন বিশ্বাস ও কথা থাকবে তেমনি কাজ করা। বাইরে ও ভেতরে পুরোপুরি এক হওয়া। যেসব বান্দার অবস্থা এ ধরনের হবে, তারাই কোরআন মাজীদের পরিভাষায় সত্যবাদী। আর এ বৈশিষ্ট্যে পূর্ণাঙ্গ হলে তাদের বলা হবে সিদ্দীক। আর কোরআন মাজীদের দাওয়াত ও শিক্ষা এই যে, মানুষকে এমনি হওয়া উচিত, এমনি লোকদের সাথে থাকা উচিত, যাতে ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস’-এর প্রাকৃতিক মৌলনীতি মোতাবেক তারা গঠিত হতে পারে। সূরা তওবায় ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সাদেকীন (সত্যাবাদী)দের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।’ (সূরা তওবাহ : আয়াত ১১৯

ধাঁধা

ধাঁধা এক নজর দেখেই বলুন তো ০ থেকে ৮ পর্যন্ত সংখ্যাগুলো, অর্থাৎ ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ ও ৮—এই নয়টি সংখ্যার মধ্যে কোন সংখ্যাটির আগের সংখ্যাগুলোর যোগফল এবং পরের সংখ্যাগুলোর যোগফল সমান? খুব সহজ। অনলাইনে মন্তব্য আকারে অথবা quayum@gmail.com ই-মেইলে আপনাদের উত্তর পাঠিয়ে দিন। সঠিক উত্তর দেখুন আগামী রোববার অনলাইনে।

মধ্যবর্তী সংখ্যা কত

ছবি
আচ্ছা বলুন তো, যেকোনো বছরে এপ্রিল, জুন, আগস্ট, অক্টোবর ও ডিসেম্বর মাসের নির্দিষ্ট কোন তারিখগুলো ঠিক একই বার হবে? এর উত্তর বের করার জন্য আপনাকে হিসাব করে বের করতে হবে, দুই মাস পরপর এমন কোনো তারিখ পাওয়া যায় কি না, যে তারিখগুলো ঠিক একই সংখ্যক সপ্তাহ পরপর আসে। এটা হিসাব করা কঠিন, কিন্তু অসাধ্য নয়। যেমন এ বছর এপ্রিলের ৪ তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার। এই তারিখের পর জুনের ৬ তারিখ, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ৬৩ দিন = ৯ সপ্তাহ। এরপর ৯ সপ্তাহ হিসাব করুন, তারিখটা হবে ৮ আগস্ট, সেটা ছিল বৃহস্পতিবার। এর ৯ সপ্তাহ পর তারিখটা হবে ১০ অক্টোবর এবং সর্বশেষ ১২ ডিসেম্বর। সেগুলোও বৃহস্পতিবার! এখন প্রশ্ন হলো, কেন হঠাৎ এপ্রিল, জুন, ...ডিসেম্বর মাসগুলো হিসাব করলাম। এর কারণ হলো তারিখগুলো মনে করে দেখুন: ৪ এপ্রিল, মানে ৪/৪, ৬ জুন, মানে ৬/৬, এভাবে ৮/৮, ১০/১০ ও ১২/১২। তারিখগুলোর মধ্যে একটি সুন্দর ছন্দ আছে। যততম মাস তত তারিখ। অর্থাৎ যেকোনো বছরের ৪/৪, ৬/৬, ৮/৮, ১০/১০ ও ১২/১২ তারিখগুলো একই বার হবে। লক্ষ্য করলে দেখবেন, ফেব্রুয়ারি মাস যেহেতু ২৮ বা লিপ ইয়ারে ২৯ দিনে হয়, তাই ২/২ বা ২ ফেব্রুয়ারি ত