হজ-পরবর্তী জীবন কেমন হওয়া উচিত-১
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। যে পাঁচটি বিষয়ের ওপর ইসলামের মূল ভিত্তি, তার পঞ্চমটি হলো হজ। তবে নামাজ, রোজা থেকে হজের বিধানটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কেননা, এটি মুসলমানের ওপর প্রতিদিন অথবা প্রতি বছর ফরজ হয় না; বরং জীবনে মাত্র একবারই ফরজ হয়ে থাকে। আর বস্তুত হজ পালন আল্লাহর প্রতি বান্দার অকৃত্রিম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
হজের পুরো ব্যাপারটিই মূলত আল্লাহর এক অনুগত বান্দা নবী হজরত ইবরাহীম আ.-এর স্মৃতিচারণ। যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন পূর্ণ সফলতার সঙ্গে। পবিত্র কুরআন মজীদে যার বর্ণনা এসেছে। আল্লাহর প্রতি তার এই অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মহা ত্যাগ আল্লাহর দরবারে এতই কবুল হয়েছিল যে, পরবর্তী নবীর উম্মতের জন্যও সে পাগলপারা বান্দার রূপ ও বেশভূষা ধারণ করা ইবাদতের অংশ বানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ ভালোবাসার টানে, জিয়ারতে বাইতুল্লাহর ঈমানী আকর্ষণে ছুটে আসে হজ পালনে।
ইযার পরনে গায়ে চাদর জড়িয়ে ফকিরের বেশে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাববাইক... ধ্বনিতে মুখরিত থাকে সবখানে। যাদের অন্তর পবিত্র, যাদের অর্ন্তদৃষ্টি আছে, তারা দেখেন আল্লাহর কুদরত, তাঁর অপার মহিমা, তাদের মনে জাগে বারবার হাযিরীর সাধ। আর যাদের তা নেই, যাদের হৃদয় কলুষিত, তাদেরও হয় অনুভূতি, তারাও পায় অভাবিত স্বাদ। এ সময়ে যেন বয়ে বেড়ায় খোদার করুণার ফল্গুধারা, যার পরশে সৌভাগ্যবানরা হয়ে ওঠেন আত্মহারা।
কিন্তু এই সৌভাগ্য তো তাদেরই নসিব হয়, যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন, যাদেরকে তিনি দিয়েছেন তাঁর ঘর জিয়ারত করার সামর্থ্য। নামাজ-রোজার মতো এই ইবাদতটি সাধারণ মুসলমানের ওপর আবশ্যকীয় নয়। এর জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু শর্তাবলি। এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- ‘মানুষের জন্য আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে বাইতুল্লাহর হজ করা অপরিহার্য, যারা সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে।’ - সূরা আল ইমরান ৯৭।
এই আয়াতের আলোকে ফকিহগণ বলেছেন, কোনো বালেগ মুসলমান দৈহিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হলেই তার ওপর হজ ফরজ হবে না; বরং হজ ফরজ হওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে সামর্থ্য। অর্থাৎ নিজ দেশ বা অঞ্চল থেকে মক্কা-মদিনায় যাওয়া-আসার খরচ, সেখানে অবস্থানকালীন খরচ এমনকি এ পূর্ণ সফরে নিজের পরিবার-পরিজনের খরচ বহন করার সামর্থ্য থাকা।
আর যে ব্যক্তি উক্ত শর্তে উন্নীত হয় তার জীবনে কেবল একবার হজ করা ফরজ। আর মূলত এই একটি বারের হজই একজন মুসলমানের সতর্ক হওয়া, জীবনের ভুলগুলো শুধরে নতুন পথে চলা ও জীবনে আমূল পরিবর্তন আনার পক্ষে যথেষ্ট। কেননা হজ মানুষের অন্তরে দুনিয়ার সবকিছুকে ভুলিয়ে একমাত্র মহান রাববুল আলামীনের ভালোবাসাকে বদ্ধমূল করে দেয়। আর তাই হজের সময় মানুষ স্ত্রী-পুত্র, পরিবার-পরিজন ছেড়ে খোদার ভালোবাসায় ডুবে থাকে। মহা শক্তিধর, পরাক্রমশালী রবের দরবারে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে ঐশী করুণায় হৃদয়-মন সিক্ত করে। বান্দা আর রবের সেই সময়কার অবস্থা বলে বোঝানোর নয়।
এটা শুধু সশরীরে উপস্থিত হয়ে অনুভব ও অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয়। হজের লক্ষণীয় যে, নামাজ, রোজা ইত্যাদি ইবাদতের ফায়দা কুরআন মজীদে স্পষ্ট করেই বর্ণনা করা হয়েছে। নামাজের ফায়দা হলো, নামাজ মানুষকে সকল অশ্লীল ও খারাপ কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখে। আর রোজা মানুষের মধ্যে তাকওয়া-খোদাভীতি সৃষ্টি করে, মানুষের হৃদয়ে এই অনুভূতি জাগ্রত করে যে, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ আমাকে দেখছেন। তেমনিভাবে জাকাতের ফায়দা হলো, জাকাত মানুষের সম্পদকে পবিত্র রাখে। এর মাধ্যমে ধনসম্পদে বরকত হয় ও গরিব-অসহায়দের প্রয়োজন মিটে।
হজের পুরো ব্যাপারটিই মূলত আল্লাহর এক অনুগত বান্দা নবী হজরত ইবরাহীম আ.-এর স্মৃতিচারণ। যিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা বিভিন্ন কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন পূর্ণ সফলতার সঙ্গে। পবিত্র কুরআন মজীদে যার বর্ণনা এসেছে। আল্লাহর প্রতি তার এই অকৃত্রিম ভালোবাসা আর মহা ত্যাগ আল্লাহর দরবারে এতই কবুল হয়েছিল যে, পরবর্তী নবীর উম্মতের জন্যও সে পাগলপারা বান্দার রূপ ও বেশভূষা ধারণ করা ইবাদতের অংশ বানিয়ে দেয়া হয়েছে। আর তাই বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ ভালোবাসার টানে, জিয়ারতে বাইতুল্লাহর ঈমানী আকর্ষণে ছুটে আসে হজ পালনে।
ইযার পরনে গায়ে চাদর জড়িয়ে ফকিরের বেশে লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাববাইক... ধ্বনিতে মুখরিত থাকে সবখানে। যাদের অন্তর পবিত্র, যাদের অর্ন্তদৃষ্টি আছে, তারা দেখেন আল্লাহর কুদরত, তাঁর অপার মহিমা, তাদের মনে জাগে বারবার হাযিরীর সাধ। আর যাদের তা নেই, যাদের হৃদয় কলুষিত, তাদেরও হয় অনুভূতি, তারাও পায় অভাবিত স্বাদ। এ সময়ে যেন বয়ে বেড়ায় খোদার করুণার ফল্গুধারা, যার পরশে সৌভাগ্যবানরা হয়ে ওঠেন আত্মহারা।
কিন্তু এই সৌভাগ্য তো তাদেরই নসিব হয়, যাদেরকে আল্লাহ তায়ালা ভালোবাসেন, যাদেরকে তিনি দিয়েছেন তাঁর ঘর জিয়ারত করার সামর্থ্য। নামাজ-রোজার মতো এই ইবাদতটি সাধারণ মুসলমানের ওপর আবশ্যকীয় নয়। এর জন্য রয়েছে বিশেষ কিছু শর্তাবলি। এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদে ইরশাদ হয়েছে- ‘মানুষের জন্য আল্লাহর (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে বাইতুল্লাহর হজ করা অপরিহার্য, যারা সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে।’ - সূরা আল ইমরান ৯৭।
এই আয়াতের আলোকে ফকিহগণ বলেছেন, কোনো বালেগ মুসলমান দৈহিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হলেই তার ওপর হজ ফরজ হবে না; বরং হজ ফরজ হওয়ার প্রধান শর্ত হচ্ছে সামর্থ্য। অর্থাৎ নিজ দেশ বা অঞ্চল থেকে মক্কা-মদিনায় যাওয়া-আসার খরচ, সেখানে অবস্থানকালীন খরচ এমনকি এ পূর্ণ সফরে নিজের পরিবার-পরিজনের খরচ বহন করার সামর্থ্য থাকা।
আর যে ব্যক্তি উক্ত শর্তে উন্নীত হয় তার জীবনে কেবল একবার হজ করা ফরজ। আর মূলত এই একটি বারের হজই একজন মুসলমানের সতর্ক হওয়া, জীবনের ভুলগুলো শুধরে নতুন পথে চলা ও জীবনে আমূল পরিবর্তন আনার পক্ষে যথেষ্ট। কেননা হজ মানুষের অন্তরে দুনিয়ার সবকিছুকে ভুলিয়ে একমাত্র মহান রাববুল আলামীনের ভালোবাসাকে বদ্ধমূল করে দেয়। আর তাই হজের সময় মানুষ স্ত্রী-পুত্র, পরিবার-পরিজন ছেড়ে খোদার ভালোবাসায় ডুবে থাকে। মহা শক্তিধর, পরাক্রমশালী রবের দরবারে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে ঐশী করুণায় হৃদয়-মন সিক্ত করে। বান্দা আর রবের সেই সময়কার অবস্থা বলে বোঝানোর নয়।
এটা শুধু সশরীরে উপস্থিত হয়ে অনুভব ও অভিজ্ঞতা অর্জনের বিষয়। হজের লক্ষণীয় যে, নামাজ, রোজা ইত্যাদি ইবাদতের ফায়দা কুরআন মজীদে স্পষ্ট করেই বর্ণনা করা হয়েছে। নামাজের ফায়দা হলো, নামাজ মানুষকে সকল অশ্লীল ও খারাপ কার্যকলাপ থেকে বিরত রাখে। আর রোজা মানুষের মধ্যে তাকওয়া-খোদাভীতি সৃষ্টি করে, মানুষের হৃদয়ে এই অনুভূতি জাগ্রত করে যে, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ আমাকে দেখছেন। তেমনিভাবে জাকাতের ফায়দা হলো, জাকাত মানুষের সম্পদকে পবিত্র রাখে। এর মাধ্যমে ধনসম্পদে বরকত হয় ও গরিব-অসহায়দের প্রয়োজন মিটে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন