গোসল
গাও ধোয় গাধা আর গোসল করে মোসলমান...
ছোট বেলায় দাদার বাড়িতে বেড়াতে গেছি দুপুরের সময় দাদা হয়ত জিজ্ঞেস করেছেন, “ কিরে ভাত খালু” আমরা হয়ত উত্তর দিলাম “দাদা এলাও গাও ধোও নাই” আর সাথে সাথে আমার শ্রদ্ধেয় দাদা মরহুম মফিজ উদ্দিন মণ্ডল “গাও ধোয় গাধা আর গোসল করে মুসলমান”এই শ্লোকটি বলতেন।
বলাবাহুল্য এতদ রংপুর অঞ্চলে গোসল করাকে গা ধোয়া বলে। যদিও সেই সময় বিষয়টি হাস্য রসাত্মক হিসেবে নিয়েছিলাম কিন্তু বড় হয়ে শ্লোকটির মর্মার্থ বুঝতে অসুবিধা হয় নাই।
অন্য ধর্মের কথা বলতে পারব না কিন্তু ইসলাম ধর্মে পাক পবিত্র হওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধান রয়েছে। কোন মুসলমানের সন্তান এই বিধি-বিধান না মেনে শুধু গায়ে পানি ঢেলে পুত পবিত্র হলে তা গাধার কর্মেরই সমার্থক ।
গাধা আমজনতার কাছে নির্বুদ্ধিতার প্রতিক , Animal Scientist দের কাছে ভারবাহী ও কষ্টসহিষ্ণু (Draught, Power & hardy) এবং আমেরিকানদের কাছে ডেমোক্রেটদের প্রতিক Slow & steady = SDGs.
গাধা মাটিতে ধুলায় গড়াগড়ি খাওয়াকে ইংরেজিতে Dust bath বলে বালিতে গড়াগড়ি খাওয়াকে Sand bath বলে। মূলত বহিস্থ পরজীবি উকুন ও আটালী
থেকে রক্ষা পেতে গাধা Dust bath ও Sand bath করে থাকে।
সাদা চামড়ার মানুষ অবশ্য Sand bath করে থাকে তাদের সাদা চামড়া তামাটে( Tan) বর্ণে নিয়ে আসতে।
এদেশে অনেকে জবেহ করার সমার্থক হিসেবে কাটা শব্দ ব্যবহার করে থাকেন যেমন- গরু, ছাগল বা মুরগি কাটা । একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে এসব শব্দ ব্যবহার করা ঠিক নয়।
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেক কাজ ও কর্মে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা অত্যন্ত আবশ্যক। মুসলিম উম্মাহসহ সব মানুষ কিভাবে উত্তম পদ্ধতিতে গোসল করবে ইসলাম সে ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করেছেন। এটি খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। যা সবার জন্য জানা প্রয়োজন। https://www.facebook.com/105242947510777/videos/536198610571316/
গোসল কি?
গোসল শব্দটি আরবি। এলাকাভেদে একে স্নান করা, নাইতে যাওয়া ইত্যাদি বলে হয়ে থাকে। গোসল শব্দের অর্থ হচ্ছে সমস্ত শরীর ধোয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র পানি দ্বারা সমস্ত শরীর ধোয়াকে ‘গোসল’ বলা হয়।
গোসলের প্রকারভেদ ও নিয়ম
ক. ফরজ গোসল- জানাবাত তথা যৌন মিলনের পর; মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধের পর; সন্তান জন্মদানের রক্ত বন্ধ হওয়ার পর।
গোসলের ফরজ তিনটি- ১. কুলি করা, ২. নাকে পানি দেয়া, ৩. সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ধোয়া যাতে চুল পরিমাণও শুকনো না থাকে।
খ. সুন্নাত গোসল- জুমআর নামাজের গোসল, দুই ঈদের নামাজের গোসল, হজ ও ওমরার ইহরামের জন্য গোসল, আরাফাহর দিনে দুপুরের গোসল।
গোসলের সুন্নাতগুলো-
১. বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা, ২. গোসলের নিয়্যাত করা, ৩. ডান হাতে পানি নিয়ে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া, ৪. লজ্জাস্থান ধোয়া, ৫. শরীরের কোথাও নাপাকি থাকলে তা পরিস্কার করা, ৬. উভয় হাত ভালো করে ধুয়ে নামাজের ওজুর ন্যায় ওজু করা, ৭. ভালোভাবে কুলি করা, ৮. নাকের ভিতর ভালো করে পানি পৌঁছানো, ৯. সমস্ত শরীর ভালো করে ধোয়া। ক. প্রথমে ডান কাধের ওপর তিনবার পানি ঢালা, খ. দ্বিতীয়বার বাম কাঁধে তিন বার পানি ঢালা, গ. অতপর মাথা ও সমস্ত শরীরের ওপর তিনবার পানি ঢালা, ১০. গোসলের স্থান থেকে সরে গিয়ে উভয় পা ধোয়া।
গ. মুস্তাহাব গোসল- ইসলাম গ্রহণের জন্য, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর অর্থাৎ ১৫ বৎসর হওয়ার পর, মস্তিষ্ক বিকৃতি ও সংজ্ঞাহীনতা দূর হওয়ার পর, সিঙ্গা লাগানোর পর, মৃত ব্যক্তির গোসল, ধর্মীয় উৎসব, মদিনা মুনাওয়ারায় প্রবেশকালে, মুযদালিফায় অবস্থানের জন্য ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর, মক্কায় প্রবেশকালে, তাওয়াফে জিয়ারতের জন্য, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহনের সময়, ইস্তিস্কার নামাজের জন্য, ভয়ের নামজের জন্য।
১. ইহ্তিলাম- সহবাস ব্যতিত পুরুষ-মহিলার বীর্য বের হলে, তা যেভাবেই হোক, ২. স্ত্রী সহবাস, ৩. স্বপ্নদোষ, ৪. হস্তমৈথুন, ৫. হায়িজ বা ঋতুস্রাব ব্ন্ধ হলে, ৬. নিফাস বা সন্তান প্রসব পরবর্তী ইদ্দতকালীন সময় শেষ হলে।
পরিশেষে...
উপরোক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরভাবে পবিত্রতা অর্জনের জন্য যথাযথভাবে গোসল করাই ইসলামের দাবি। সব মানুষ যাতে যথাযথ নিয়মে গোসল করে পবিত্র জিন্দেগি যাপন করতে পারে, আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই, তাওফিক চাই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। দান করুন উত্তম প্রতিদান। আমিন। সুত্র- ইন্টারনেট( বিধান সংক্রান্ত অংশটি)
ছোট বেলায় দাদার বাড়িতে বেড়াতে গেছি দুপুরের সময় দাদা হয়ত জিজ্ঞেস করেছেন, “ কিরে ভাত খালু” আমরা হয়ত উত্তর দিলাম “দাদা এলাও গাও ধোও নাই” আর সাথে সাথে আমার শ্রদ্ধেয় দাদা মরহুম মফিজ উদ্দিন মণ্ডল “গাও ধোয় গাধা আর গোসল করে মুসলমান”এই শ্লোকটি বলতেন।
বলাবাহুল্য এতদ রংপুর অঞ্চলে গোসল করাকে গা ধোয়া বলে। যদিও সেই সময় বিষয়টি হাস্য রসাত্মক হিসেবে নিয়েছিলাম কিন্তু বড় হয়ে শ্লোকটির মর্মার্থ বুঝতে অসুবিধা হয় নাই।
অন্য ধর্মের কথা বলতে পারব না কিন্তু ইসলাম ধর্মে পাক পবিত্র হওয়ার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বিধি-বিধান রয়েছে। কোন মুসলমানের সন্তান এই বিধি-বিধান না মেনে শুধু গায়ে পানি ঢেলে পুত পবিত্র হলে তা গাধার কর্মেরই সমার্থক ।
গাধা আমজনতার কাছে নির্বুদ্ধিতার প্রতিক , Animal Scientist দের কাছে ভারবাহী ও কষ্টসহিষ্ণু (Draught, Power & hardy) এবং আমেরিকানদের কাছে ডেমোক্রেটদের প্রতিক Slow & steady = SDGs.
গাধা মাটিতে ধুলায় গড়াগড়ি খাওয়াকে ইংরেজিতে Dust bath বলে বালিতে গড়াগড়ি খাওয়াকে Sand bath বলে। মূলত বহিস্থ পরজীবি উকুন ও আটালী
থেকে রক্ষা পেতে গাধা Dust bath ও Sand bath করে থাকে।
সাদা চামড়ার মানুষ অবশ্য Sand bath করে থাকে তাদের সাদা চামড়া তামাটে( Tan) বর্ণে নিয়ে আসতে।
এদেশে অনেকে জবেহ করার সমার্থক হিসেবে কাটা শব্দ ব্যবহার করে থাকেন যেমন- গরু, ছাগল বা মুরগি কাটা । একজন ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে এসব শব্দ ব্যবহার করা ঠিক নয়।
ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানুষের দৈনন্দিন জীবনের প্রত্যেক কাজ ও কর্মে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলা অত্যন্ত আবশ্যক। মুসলিম উম্মাহসহ সব মানুষ কিভাবে উত্তম পদ্ধতিতে গোসল করবে ইসলাম সে ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করেছেন। এটি খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। যা সবার জন্য জানা প্রয়োজন। https://www.facebook.com/105242947510777/videos/536198610571316/
গোসল কি?
গোসল শব্দটি আরবি। এলাকাভেদে একে স্নান করা, নাইতে যাওয়া ইত্যাদি বলে হয়ে থাকে। গোসল শব্দের অর্থ হচ্ছে সমস্ত শরীর ধোয়া। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র পানি দ্বারা সমস্ত শরীর ধোয়াকে ‘গোসল’ বলা হয়।
গোসলের প্রকারভেদ ও নিয়ম
ক. ফরজ গোসল- জানাবাত তথা যৌন মিলনের পর; মাসিক ঋতুস্রাব বন্ধের পর; সন্তান জন্মদানের রক্ত বন্ধ হওয়ার পর।
গোসলের ফরজ তিনটি- ১. কুলি করা, ২. নাকে পানি দেয়া, ৩. সমস্ত শরীর পানি দিয়ে ধোয়া যাতে চুল পরিমাণও শুকনো না থাকে।
খ. সুন্নাত গোসল- জুমআর নামাজের গোসল, দুই ঈদের নামাজের গোসল, হজ ও ওমরার ইহরামের জন্য গোসল, আরাফাহর দিনে দুপুরের গোসল।
গোসলের সুন্নাতগুলো-
১. বিসমিল্লাহ বলে শুরু করা, ২. গোসলের নিয়্যাত করা, ৩. ডান হাতে পানি নিয়ে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধোয়া, ৪. লজ্জাস্থান ধোয়া, ৫. শরীরের কোথাও নাপাকি থাকলে তা পরিস্কার করা, ৬. উভয় হাত ভালো করে ধুয়ে নামাজের ওজুর ন্যায় ওজু করা, ৭. ভালোভাবে কুলি করা, ৮. নাকের ভিতর ভালো করে পানি পৌঁছানো, ৯. সমস্ত শরীর ভালো করে ধোয়া। ক. প্রথমে ডান কাধের ওপর তিনবার পানি ঢালা, খ. দ্বিতীয়বার বাম কাঁধে তিন বার পানি ঢালা, গ. অতপর মাথা ও সমস্ত শরীরের ওপর তিনবার পানি ঢালা, ১০. গোসলের স্থান থেকে সরে গিয়ে উভয় পা ধোয়া।
গ. মুস্তাহাব গোসল- ইসলাম গ্রহণের জন্য, প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর অর্থাৎ ১৫ বৎসর হওয়ার পর, মস্তিষ্ক বিকৃতি ও সংজ্ঞাহীনতা দূর হওয়ার পর, সিঙ্গা লাগানোর পর, মৃত ব্যক্তির গোসল, ধর্মীয় উৎসব, মদিনা মুনাওয়ারায় প্রবেশকালে, মুযদালিফায় অবস্থানের জন্য ১০ জিলহজ সুবহে সাদিকের পর, মক্কায় প্রবেশকালে, তাওয়াফে জিয়ারতের জন্য, সূর্য ও চন্দ্রগ্রহনের সময়, ইস্তিস্কার নামাজের জন্য, ভয়ের নামজের জন্য।
১. ইহ্তিলাম- সহবাস ব্যতিত পুরুষ-মহিলার বীর্য বের হলে, তা যেভাবেই হোক, ২. স্ত্রী সহবাস, ৩. স্বপ্নদোষ, ৪. হস্তমৈথুন, ৫. হায়িজ বা ঋতুস্রাব ব্ন্ধ হলে, ৬. নিফাস বা সন্তান প্রসব পরবর্তী ইদ্দতকালীন সময় শেষ হলে।
পরিশেষে...
উপরোক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরভাবে পবিত্রতা অর্জনের জন্য যথাযথভাবে গোসল করাই ইসলামের দাবি। সব মানুষ যাতে যথাযথ নিয়মে গোসল করে পবিত্র জিন্দেগি যাপন করতে পারে, আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই, তাওফিক চাই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। দান করুন উত্তম প্রতিদান। আমিন। সুত্র- ইন্টারনেট( বিধান সংক্রান্ত অংশটি)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন