পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বদলী হজ্জের মাসআলা

ছবি
১. মাসআলা : মৃত ব্যক্তি তার পক্ষ থেকে বদলি হজের অসিয়ত করে গেলে নিয়ম হল, তার কোনো ঋণ থাকলে প্রথমে তার পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তা আদায় করা। এরপর অবশিষ্ট সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকে বদলি হজের অসিয়ত কার্যকর করা। এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা মৃতের আবাসস্থল থেকে হজের জন্য পাঠানো সম্ভব হলে তার এলাকা থেকেই কাউকে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য কোনো দেশ থেকে কাউকে দিয়ে হজ করালে মৃতের অসিয়ত ও ফরজ হজ আদায় হবে না। কিন্তু এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা যদি মৃতের এলাকা থেকে হজ করানো সম্ভব না হয় তাহলে ঐ টাকা দিয়ে যেখান থেকে হজ করানো যায় সেখান থেকেই করাবে। অবশ্য ওয়ারিশগণ চাইলে নিজ সম্পদ থেকে কিছু দিয়ে মৃতের এলাকা থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবে। ২. মাসআলা : মাইয়েত যদি বদলি হজের অসিয়ত করে না যায় আর ওয়ারিশগণ স্বেচ্ছায় তার বদলি হজ করাতে চায় সেক্ষেত্রে মৃতের এলাকা থেকে বদলি করানো জরুরি নয়। তারা অন্য দেশ যেমন- সৌদি আরব বা তার কাছাকাছি কোনো দেশ থেকেও মাইয়েতের পক্ষ থেকে বদলি হজ করাতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও তার দেশ থেকে কাউকে পাঠিয়ে হজ করানো উত্তম। কারণ এভাবে করলে মাইয়েতের উপর যেভাবে হজ ফরজ হয়েছিল সেভাবে আদায় করা হয়। [

শাওয়াল মাসের ফযিলত ও আমল

ছবি
শাওয়াল হলো আরবি চান্দ্র বছরের দশম   মাস। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) প্রথম মাস; এই মাসের প্রথম তারিখে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ। পয়লা শাওয়ালে সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা আদায় করা এবং ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। এই মাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রয়েছে হজের, এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে ঈদের, এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে রোজা ও রমজানের এবং এর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে সদকা ও জাকাতের। তাই এই মাস আমল ও ইবাদতের জন্য অত্যন্ত উর্বর ও উপযোগী। শাওয়ালের  অর্থ ও তাৎপর্য ‘শাওয়াল’ আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো উঁচু করা, উন্নতকরণ, উন্নত ভূমি, পূর্ণতা, ফলবতী, পাল্লা ভারী হওয়া, গৌরব করা, বিজয়ী হওয়া, প্রার্থনায় হস্ত উত্তোলন ক শাওয়াল  মাসের সুন্নত হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত: শাওয়াল মাসে বিয়েশাদি সুন্নত, যেরূপ শুক্রবারে ও জামে মসজিদে ও বড় মজলিশে আক্দ অনুষ্ঠিত হওয়া সুন্নত। কারণ, মা আয়েশার বিয়ে শাওয়াল মাসের শুক্রবারে মসজিদে নববিতেই হয়েছিল। ছয় রোজা শাওয়াল মাসের বিশেষ সুন্নত। (সহিহ মুসলিম শরিফ)। রা বা ভিক্ষায় হস্ত প্রসারিত করা, পাত্রে অবশিষ্ট সামান্য পানি, ফুরফুরে ভাব, দায়ভারমুক্ত ব্যক্তি, ক্রোধ প্রশমন ও নীরব

জিলকদ মাসের ফযিলত

জিলকদ হলো আরবি চান্দ্রবছরের একাদশ মাস। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) দ্বিতীয় মাস এবং জিলহজের (হজের মাস) জোড়া মাস। হারাম বা নিষিদ্ধ চার মাসের তৃতীয় মাস হলো এই মাস। হারাম চার মাস হলো মহররম (১ম মাস), রজব (৭ম মাস), জিলকদ (১১তম মাস) ও জিলহজ (১২তম মাস)। হারাম চার মাসের মধ্যে যে তিনটি মাস একসঙ্গে, তার সূচনা মাস হলো জিলকদ মাস। ঈদুল ফিতর (শাওয়াল মাস) ও ঈদুল আজহার (জিলহজ মাস) মাঝামাঝিতে জিলকদ মাসের অবস্থান হওয়ায় এই মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ইবাদতের প্রস্তুতিমূলক বিশ্রাম জিলকদ মাসের প্রকৃত আরবি নাম হলো ‘জুলকাআদাহ’। ফারসিতে ‘জিলকাআদা’; উর্দুতে ‘জিলকাআদ’; বাংলায় ‘জিলকদ’ রূপ ধারণ করেছে। ‘জুলকাআদাহ’ বা ‘জিলকদ’ অর্থ হলো বসা বা স্থিত হওয়া, বিশ্রাম নেওয়া। জিলকদ মাসের আগের চার মাস (রজব, শাবান, রমান, শাওয়াল) ধারাবাহিক নির্ধারিত ইবাদতে ব্যস্ততম মাস। যেমন: রমজান হলো আল্লাহর মাস, ইবাদতের ভূমি কর্ষণের মাস, বেশি বেশি নফল ইবাদতের মাস। শাবান হলো রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর মাস, ইবাদতের বীজ বপনের মাস; নিসফ শাবান বা শবে বরাত এবং সর্বাধিক নফল রোজা ও নফল ইবাদতের মাস। রমজান হলো উম্মতের মাস, ফসল তোলার মাস, ফরজ

জিলকদ মাসের আমল

ছবি
জিলকদ হলো আরবি চান্দ্রবছরের একাদশ মাস। এটি হজের তিন মাসের (শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ) দ্বিতীয় মাস এবং জিলহজের (হজের মাস) জোড়া মাস। হারাম বা নিষিদ্ধ চার মাসের তৃতীয় মাস হলো এই মাস। হারাম চার মাস হলো মহররম (১ম মাস), রজব (৭ম মাস), জিলকদ (১১তম মাস) ও জিলহজ (১২তম মাস)। হারাম চার মাসের মধ্যে যে তিনটি মাস একসঙ্গে, তার সূচনা মাস হলো জিলকদ মাস। ঈদুল ফিতর (শাওয়াল মাস) ও ঈদুল আজহার (জিলহজ মাস) মাঝামাঝিতে জিলকদ মাসের অবস্থান হওয়ায় এই মাসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। জিলকদ মাসের আমল জিলকদ মাসের আমল হলো: প্রতি মাসের মতো এই জিলকদ মাসের ১, ১০, ২০, ২৯ ও ৩০ তারিখে নফল রোজা পালন করা। চাঁদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে আইয়ামে বিদের {আদি পিতা প্রথম নবী হজরত বাবা আদম (আ.)} সুন্নত রোজা রাখা। প্রতি সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার সুন্নতে নববি রোজা পালন করা। প্রতি শুক্রবার নফল রোজা রাখা। সলাতুত তাসবিহ এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নফল নামাজ (তাহাজ্জুদ, ইশরাক, চাশত বা দুহা, জাওয়াল ও আউওয়াবিন) পড়া। বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা এবং বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। দান-খয়রাত বেশি বেশি করা। জিলহজ মাসের ৯টি সুন্নত রোজা ও মহররম মাসের ১০টি রোজা

পান করার সুন্নাত সমূহ

ছবি
পান করার সুন্নাত সমূহ ১. পানির পেয়ালা ডান হাত দিয়ে ধরা। (মুসলিম, হাদীস নং- ২০২০) ২. বসে পান করা, বসতে অসুবিধা না হলে দাঁড়িয়ে পান না করা। (মুসলিম, হাদীস নং- ২০২৪) ৩. বিসমিল্লাহ বলে পান করা এবং পান করে আলহামদুলিল্লাহ বলা। (তাবরানী আওসাতা, হাদীস নং- ৬৪৫২) ৪. কমপক্ষে তিন শ্বাসে পান করা এবং শ্বাস ছাড়ার সময় পানির পাত্র মুখ হতে সরিয়ে নেয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬৩১) ৫. পাত্রের ভাঙ্গা দিক দিয়ে পান না করা। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৭২২) ৬. পাত্র যদি এমন হয়, যার ভিতর নজরে আসে না, সেটার মুখে মুখ লাগিয়ে পান না করা। কারণ, তাতে কোন বিষাক্ত প্রাণী ক্ষতি সাধন করতে পারে। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬২৬) ৭. পানি পান করার পর এই দু‘আ পড়া : اَلْحَمْدُ لِلّهِ الَّذِيْ سَقَانَا مَاءً عَذْبًا فُرَاتًا بِرَحْمَتِه وَلَمْ يَجْعَلْهُ مِلْحًا اُجَاجًا بِذُنُوْبِنَا . ৮. পানীয় দ্রব্য পান করে কাউকে দিতে হলে ডান দিকের ব্যক্তিকে আগে দেয়া এবং এই ধারাবাহিকতা অনুযায়ীই শেষ করা।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৫৬১৯) ৯. উযু করার পর যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেয়া হয়, সে পাত্রের অবশিষ্ট পানি কিবলা

হজ্জ কত প্রকার?

ছবি
হজ্বের প্রকারসমূহ হজ্ব তিন প্রকার: ১. কিরান ২. তামাত্তু ৩. ইফরাদ ১.কিরান: কিরান সর্বাধিক ফযীলতপূর্ণ। হজ্বে কিরানের মধ্যে হজ্ব ও উমরার ইহরাম এক সাথে বাঁধা হয় এবং একই সাথে হজ্ব ও উমরার ইহরাম খোলা হয়। উমরার পরে হালাল হওয়া যায় না অর্থাৎ উমরা করার পর মাথার চুল কামানো বা ছাঁটা যায় না এবং ইহরামের সময় নিষিদ্ধ কোনো কাজও করা যায় না। যারা শেষের দিকে যায় তাদের জন্য এই প্রকার হজ্ব করা সহজ। ২. তামাত্তু: কিরানের পর তামাত্তুর ফযীলত বেশি। ‘তামাত্তু অর্থ ফায়িদা হাসিল করা। হজ্বে তামাত্তুর জন্য প্রথমে উমরার ইহরাম বেঁধে মক্কা শরীফ যেতে হয় এবং বাইতুল্লাহ পৌঁছে উমরার কাজ শেষ করে হালাল হয়ে যেতে হয়। এরপর জিলহজ্বের সাত বা আট তারিখে মিনায় যাওয়ার সময় হজ্বের জন্য ইহরাম বাঁধার পূর্ব পর্যন্ত স্বাভাবিক পোশাকে থাকতে পারে। মাঝের এই সময়ে স্বাভাবিকভাবে থেকে ফায়িদা হাসিল করা ( যেমন: সেলাই করা কাপড় পরা, খোশবু ব্যবহার করা, চুল-নখ ইত্যাদি কাটা, স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা।) কেই তামাত্তু বলে। তামাত্তু হজ্বে দুইবার ইহরাম বাঁধতে হয়, দুইবার খুলতে হয়। প্রথমবার উমরার জন্য দ্বিতীয়বার হজ্বের জন্য।  তামাত্তু হজ্বকারীর ক্ষেত্রে নিয়ম হ

বিশেষ কিছু আমল

ছবি
মাবরূপ হজ সেটি যা পরিপূর্ণভাবে সম্পাদিত হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদর্শিত পন্থায়। যাতে কোনো রিয়া বা লোক দেখানো কিংবা সুনাম বা মানষের প্রশংসা কুড়ানোর মানসিকতা নেই। নেই কোনো অশ্লীলতা বা পাপাচারের স্পর্শ। যাকে বেষ্টন করে থাকে নেক কাজ ও পুণ্যময় আমল। ৩. সিয়াম পালন করা: মুসলমানের জন্য উচিত হবে যিলহজ মাসের এই মুবারক দিনগুলোতে যত বেশি সম্ভব সিয়াম পালন করা। সাওম আল্লাহর অতি প্রিয় আমল। হাদীসে কুদসীতে সিয়ামকে আল্লাহ নিজের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ বলেছেন, সিয়াম ছাড়া আদম সন্তনের প্রতিটি কাজই তার নিজের জন্য; শুধু সিয়াম ছাড়া। কারণ, তা আমার জন্য। তাই আমিই এর প্রতিদান দেব। সিয়াম ঢাল স্বরূপ।’ [বুখারি: ১৯০৪; মুসলিম : ২৭৬২] সাওম যে এক বড় মর্যাদাসম্পন্ন ও আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল তা আমরা এ হাদীস থেকে অনুধাবন করতে পারি। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরাফার দিনের সাওমের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্বারূপ করেছেন এবং এর মর্যাদা বর্ণনা করেছেন। আবূ কাতদা রাদিআল্লাহু আনহূ থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা

নামাজের সিজদা অবস্থায় ১৯ কাজ

ছবি
সিজদা অবস্থায় ১৯ কাজ ১. সিজদায় যাওয়া অবস্থায় তাকবীর বলা। ২. হাঁটু মাটিতে লাগার আগ পর্যন্ত সিনা ও মাথা সোজা রাখা অবস্থায় সিজদায় যাওয়া। ৩. (প্রথমে) উভয় হাঁটু মাটিতে রাখা। ৪. (তারপর) নিতম্ব রাখা। ৫. উভয় পা ডান দিক দিয়ে বের করে বিছিয়ে রাখা। ৬. পায়ের আঙ্গুলগুলো কিবলামুখী করে রাখা। ৭. তারপর আঙ্গুল মিলিয়ে হাঁটুর কাছে মাথা রাখা। ৮. আঙ্গুলের মাথাগুলো কিবলামুখী করে সোজাভাবে রাখা। ৯. দু‘হাতের মধ্যখানে চেহারা রাখা যায় এ পরিমাণ ফাঁক রাখা। ১০. (তারপর) বৃদ্ধাঙ্গুলের মাথা বরাবর হাঁটুর সামনে রাখা। ১১. নাকের অগ্রভাগের দিকে অর্থাত জমিনের দিকে নজর রাখা। ১২. (তারপর) কপাল রাখা। ১১. পেট উরু থেকে পৃথক রাখা। ১২. কনুই মাটি ও রান থেকে পৃথক রাখা। ১৩. পেট উরুর সঙ্গে মিলিয়ে রাখা। ১৪. কনুই মাটিতে লাগিয়ে রাখা। ১৫. বাহু শরীরের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা। ১৬. অত্যন্ত জড়সড় হয়ে সিজদা করা। ১৭. আঙ্গুলসমূহ পরস্পরে মিলিয়ে রাখা। ১৮. কমপক্ষে তিনবার সিজদার তাসবীহ্ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা ) পড়া। ১৯. সিজদা করা ফরয এবং সিজদায় কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ দেরী করা ওয়াজিব।

হযরত ইউসুফ (আঃ)

بسم الله الرحمن الرحيم হযরত ইউসুফ (আঃ)-এর কাহিনী  لَّقَدْ كَانَ فِي يُوسُفَ وَإِخْوَتِهِ آيَاتٌ لِّلسَّائِلِينَ ﴿٧﴾ إِذْ قَالُوا لَيُوسُفُ وَأَخُوهُ أَحَبُّ إِلَىٰ أَبِينَا مِنَّا وَنَحْنُ عُصْبَةٌ إِنَّ أَبَانَا لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ ﴿٨﴾ اقْتُلُوا يُوسُفَ أَوِ اطْرَحُوهُ أَرْضًا يَخْلُ لَكُمْ وَجْهُ أَبِيكُمْ وَتَكُونُوا مِن بَعْدِهِ قَوْمًا صَالِحِينَ ﴿٩﴾ قَالَ قَائِلٌ مِّنْهُمْ لَا تَقْتُلُوا يُوسُفَ وَأَلْقُوهُ فِي غَيَابَتِ الْجُبِّ يَلْتَقِطْهُ بَعْضُ السَّيَّارَةِ إِن كُنتُمْ فَاعِلِينَ ﴿١٠ তরজমাঃ “ইউসুফ(আ:)ও তাঁর ভাইদের কাহিনীতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে জিজ্ঞাসুদের জন্য; যখন তারা বললো- অবশ্যই ইউসুফ ও তার ভাই আমাদের পিতার কাছে আমাদের চাইতে অধিক প্রিয়, অথচ আমরা একটি সংহত দল। নিশ্চয় আমাদের পিতা প্রকাশ্য ভ্রান্তিতে রয়েছেন। হয়তো ইউসুফকে হত্যা কর কিংবা তাকে ফেলে রেখে আস অন্য কোন স্থানে। তাহলে তোমাদের পিতার স্নেহ দৃষ্টি শুধু তোমাদের প্রতিই নিবিষ্ট হবে এবং এরপর তোমরা (তওবা করে) ভাল মানুষ হয়ে যাবে। তাদের মধ্য থেকে একজন বললো- তোমরা ইউসুফকে হত্যা করো না, বরং যদি তোমরা কিছু করতেই চাও, তাহলে

হজ্ব ফরয হওয়ার শর্ত

ছবি
কার উপর হজ্ব ফরয: যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্বে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্বকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্ব করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮) * হজ্ব যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্ব বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্ব আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬) মহিলাদের হজ্ব ফরয হওয়ার শর্ত: প্রয়োজনের অতিরিক্ত এই পরিমান টাকা-পয়সা বা জমিজমা থাকা যা দিয়ে নিজের এবং একজন মাহরামের হজ্বে যাওয়া-আসা ও থাকা-খাওয়ার যাবতীয় খরচ বহন সম্ভব হয়। কোনো মহিলার যথেষ্ট সম্পদ আছে কিন্তু সাথে যাওয়ার মতো কোনো মাহরাম নেই। তাহলে তার উপর হজ্ব ফরয হবে না। কোনো মহিলার মাহরাম হজ্বে যাচ্ছে সেও তার সাথে হজ্বে চলে গেল, এক্ষেত্রে সে তার মাহরামকে কোনো খরচ না দিলেও তার ফরয আদায় হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৪৬৪ যাকারিয়া কুতুব খানা) * যদি কারো স্ত্রীর উপর হজ্ব ফরয হয়ে যায়, আর সে হজ্বে যাওয়ার জন্য কো

Fajayele Hajj - হজের ফাজায়েল

ছবি
হজ্ব ও উমরার ফাযায়েলঃ *عن ابن عمر رضى الله عنه أن رسول لله صلى الله عليه وسلم قال: بنى الاسلام على خمس: شهادة أن لا اله الا الله, وأن محمدا رسول الله, وإقام الصلاة, وإيتاء الزكاة, وحج البيت, وصوم رمضان. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি জিনিসের উপর, এ কথার সাক্ষ্য দান করা যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো মা‘বূদ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার রাসূল, নামায কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, বাইতুল্লাহর হজ্ব করা, রমযানে রোযা রাখা। (বুখারী হা.নং ৮) * عن أبى هريرة رضى الله عنه قال: سئل النبى صلى الله عليه وسلم: أي العمل أفضل؟ قال: إيمان بالله ورسو له, قيل ثم ماذا؟ قال: الجهاد فى سبيل الله, قيل ثم ماذا؟ قال حج مبرور. হযরত আবূ হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একবার নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করা হলো: কোন আমল বেশি ফযীলতপূর্ণ? তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের উপর ঈমান আনা। বলা হলো এরপর কোন আমল বেশি ফযীলত রাখে? তিনি বললেন, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। আবার বলা হলো এরপর কোন আমল বেশি ফয

CS, SA, RS

“ নামজারি ”  কাকে   বলে ?  ক্রয়সূত্রে/উত্তরাধিকার সূত্রে অথবা যেকোন সূত্রে জমির নতুন মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারী বলা হয়।  “ জমা   খারিজ ” কাকে   বলে ?  যৌথ জমা বিভক্ত করে আলাদা করে নতুন খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে। অন্য কথায় মূল খতিয়ান থেকে কিছু জমির অংশ নিয়ে নতুন জোত বা খতিয়ান সৃষ্টি করাকে জমা খারিজ বলে।   “ খতিয়ান ”  কাকে বলে ?  ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় তাকে “থতিয়ান” বলে। খতিয়ান প্রস্তত করা হয় মৌজা ভিত্তিক। আমাদের দেশে CS, RS, SA এবং সিটি জরিপ সম্পন্ন হয়েছে। এসব জরিপকালে ভূমি মালিকের তথ্য প্রস্তত করা হয়েছে তাকে “খতিয়ান” বলে। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান।   “ পর্চা ”  কাকে   বলে ?  ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হ তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুল