পোস্টগুলি

জুন, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Tohfaye Ramadan- তোহফায়ে রামজান

ছবি
চন্দ্র বর্ষের নবম মাস রমযান। রমযান শব্দটি ‘রম্যুন’ শব্দমূল হতে উদ্ভুত। অর্থ উত্তপ্ত ভূমিতে চলার ফলে পায়ে ফোসকা পড়া, কোন বস্তুকে জ্বালিয়ে ভস্ম করা। আরবী ‘সাওম’, শব্দটি বাবে নাসারা-এর মাসদার। আভিধানিক অর্থ বিরত থাকা, চুপ থাকা, বন্ধ করা, আত্মসংযম ইত্যাদি। (লিসানুল ‘আরব, ৭ম খ-, পৃ. ৪৪৬; বাযলুল মাজহুদ, ১১শ খ-, পৃ. ৮৯)। ইমাম রাগিব আল-ইস্পাহানী (র.) বলেন, ‘বিশেষ কাজ থেকে বিরত থাকাকেই সাওম বলা হয়’ (আল-মুফরাদাত ফী গারীবিল কোরআন, পৃ. ২৯৩)। শরীআতের পরিভাষায় সুবহে সাদিকের পূর্ব থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সাওয়াব ও আল্লাহ্র নৈকট্য লাভের আশায় সকল প্রকারের পানাহার ও জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থাকার নাম সাওম ফার্সী ভাষায় রোযা। বদরুদ্দীন আল-আয়নী (র.) বলেন, ‘শরীআতের পরিভাষায় সুবহে সাদিক উদিত হওয়া থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী সহবাস ও সংশিষ্ট বিষয় থেকে বিরত থাকাকেই সাওম বলে’ (‘উমদাতুল কারী, ১০ম খ-, পৃ. ৬০৩)। ড. ইউসুফ হামিদ আল-আলাম বলেন, ‘সিয়াম সাধনা হলো দু’টি কামনার চাহিদা থেকে বিরত থাকা, পেটের কামনা ও যৌন কামনা। রোযার উপাকারিতা হলো মানুষের ইচ্ছা শক্তিকে সংকল্প গ্রহণের উপর ট্রেনি

সিয়াম সাধনার মাস- মাহে রমজান

ছবি
স্বাগতম মাহে রমজান। প্রতি বছরের ন্যায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এলো পবিত্র রমজানুল মোবারক। পবিত্র রমজান মাস নিঃসন্দেহের অন্যান্য মাসসমূহ থেকে পৃথকভাবে মাহাত্ম্যের দাবি রাখে। বিশ্ব মানবতার সর্বশ্রেষ্ঠ মুক্তির সনদ সর্বযুগের সর্বদেশের সর্বজাতি সর্বাঙ্গীন জীবন ব্যবস্থার অপরিবর্তনীয় গ্রন্থ আল কোরআন। যে মাসে নাযিল করা হয় সে মাসের পবিত্রতা , মাহাত্ম্য ও মহিমা নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। আরবী মাসসমূহের এই ‘ রমজান ’ এ পরম করণাময় আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেন আসমানী কিতাবসমূহের সর্বশেষ গ্রন্থ আল কোরআন। কোরআন শরীফে আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্টভাবে এরশাদ করেন , ‘ রমজান এমন এক মহিমাময় ও গৌরবাম - িত মাস যে মাসে ( আল্লাহতায়ালার পাক কালাম ) কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছে। শুধু কোরআন শরীফই নয় , পূর্ববর্তী আসমানি গ্রন্থসমূহ ও সহীফাগুলো এই পবিত্র রমজান মাসে নাযিল করা হয়। রমজান মাসের পহেলা ( কিংবা ৩রা তারিখে ) হযরত ইব্রাহীম ( আঃ ) সহীফা লাভ করেন , ৬ তারিখে হযরত মূসা ( আঃ )- এর কাছে পবিত্র ‘ তাওরাত ’ পৌঁছায়। হয