পাত্রী দেখা সংক্রান্ত মাসআলা

পাত্রী দেখা সংক্রান্ত মাসআলা

পাত্রী দেখা শরী‘আতের দৃষ্টিতে মুস্তাহাব। মহরের পরিমাণসহ সবকিছু পাকাপাকি হয়ে যাওয়ার পরে গোপনীয়ভাবে শুধুমাত্র পাত্র পাত্রীর চেহারা দেখতে পারবে। বিস্তারিত দেখতে হলে ছেলের উচিত তার বংশীয় মহিলাদেরকে পাঠানো। বর্তমানে যেমন ছেলেরা ঘটা করে নিজেদের বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে মেয়ের পা থেকে মাথা পর্যন্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে, এটা শরী‘আতে সম্পূর্ণ নিষেধ। কেননা, ঘটনাক্রমে যদি এ ছেলের সাথে মেয়ের বিবাহ না হয় তাহলে সেটা মেয়ের জন্য চরম মানসিক আঘাতের কারণ হয়। পাত্রী তো আর খোলা বাজারের মাছ-গোশত নয় যে, যেই দেখতে ইচ্ছা করবে তাকে দেখানো হবে, মন চাইলে কিনবে, না চাইলে না কিনবে। পাত্রী তো আশরাফুল মাখলুকাত, মাতৃজাতি- তার ইয্‌যত সম্মান রক্ষা করা সকলের কর্তব্য।

বিবাহের পূর্বে বর-কনের সন্তুষ্টি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক

বর্তমানে অনেক জায়গায় বিবাহের ক্ষেত্রে বর-কনের পারস্পরিক পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে তাদের মতামতের কোন তোয়াক্কা করা হয় না। যার সাথে দুটি মানুষের সারা জীবনের সুখ-দুঃখের সম্পর্ক সে ক্ষেত্রে তাদের মতামত না নিয়ে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয় তৃতীয় পক্ষ, আশ্চর্যই বটে!! অনেক ক্ষেত্রে তো প্রবল আপত্তি সত্তেও একরকম জবরদস্তীই তাদের বিবাহ দিয়ে দেয়া হয়। এভাবে তাদের সকল সুখ-স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করে বিরোধপূর্ণ এক ভবিষ্যতের দিকে তাদেরকে ঠেলে দেয়া হয়। এমনটি করা শুধু শরীআতের দৃষ্টিতেই নয় বরং সুস্থ বিবেকেরও পরিপন্থি। এ জাতীয় বিবাহের পরিণতি খুব একটা সুখকর হয় না। তাই এ থেকে বেঁচে থাকা উচিত।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়পুর রচনা

সোনারগাঁও রচনা

প্রতীক, সংকেত, যোজনী