বিবাহ সম্পর্কিত হাদীস
বিবাহ সম্পর্কিত কিছু হাদীস
১. হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ পাক আবশ্যক মনে করেন -
(১) ঐ মুকাতাব বা দাস যে নিজের মুক্তিপণ আদায় করতে চায়।
(২) ঐ বিবাহকারী যে আপন চরিত্র রক্ষা করতে চায় এবং
(৩) ঐ মুজাহিদ যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।
(তিরমিযী শরীফ, মিশকাত-২৬৭)
১. হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ পাক আবশ্যক মনে করেন -
(১) ঐ মুকাতাব বা দাস যে নিজের মুক্তিপণ আদায় করতে চায়।
(২) ঐ বিবাহকারী যে আপন চরিত্র রক্ষা করতে চায় এবং
(৩) ঐ মুজাহিদ যে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে।
(তিরমিযী শরীফ, মিশকাত-২৬৭)
২. রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে তার আভিজাত্যের কারণে বিবাহ করবে আল্লাহ তা’আলা তার অপমান ও অপদস্ততা অধিক হারে বৃদ্ধি করবেন। আর যে ব্যক্তি তার ধন-সম্পদের কারণে তাকে বিবাহ করবে, আল্লাহ পাক তার দারিদ্রতাকে (দিনে দিনে) বৃদ্ধি করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি তাকে বিবাহ করবে তার বংশ কৌলিণ্য দেখে, আল্লাহ পাক তার তুচ্ছতা ও হেয়তা বাড়িয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি কোন মহিলাকে শুধুমাত্র এই জন্য বিবাহ করে যে, সে তার চক্ষুকে অবনত রাখবে এবং লজ্জাস্থানকে হেফাজত করবে অথবা (আত্মীয়দের মধ্যে হলে) আত্মীয়তা রক্ষা করবে, তাহলে আল্লাহ সেই নারী-পুরুষ উভয়ের জীবনেই বরকত দান করবেন।(তাবারানী)
৩. হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ নারীকে চার কারণে বিবাহ করা হয়। (১) তার ধনের কারণে (২) তার বংশ মর্যাদার কারণে (৩) তার সৌন্দর্যের কারণে এবং (৪) তার দ্বীনদারীর কারণে। সুতরাং তুমি দ্বীনদার বিবি লাভ করে কামিয়াব হও। তোমাদের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক অর্থাৎ তুমি ধ্বংস হও (যদি দ্বীনদার ব্যতিত অন্য নারী চাও)।(বুখারী-মুসলিম, মিশকাত-২৬৭)
৪.হযরত
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি
ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ গোটা দুনিয়াই হলো সম্পদ, আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ
সম্পদ হল নেককার বিবি। (মুসলিম শরীফ, মিশকা্ত- ২৬৭)
৫.হযরত আবু হুরাইরা
(রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া
সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ যখন তোমাদের নিকট এমন কোন লোক বিবাহের প্রস্তাব দেয়
যার দ্বীনদারী ও আখলাক তোমরা পছন্দ কর, তখন বিবাহ দিয়ে দাও। (মাল সম্পদের
প্রতি লক্ষ্য কর না) তা যদি না কর তাহলে দেশে ব্যপকহারে ফেতনা-ফাসাদ দেখা
দেবে।(তিরমিযী, মিশকাত শরীফ- ২৬৭)
৬. হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে,
নবীয়ে কারীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেছেনঃ সর্বাপেক্ষা
বরকতর্পূণ বিবাহ হলো, যা সর্বাপেক্ষা কম খরচে সম্পাদিত হয়। (বাইহাকী,
মিশকাত শরীফ- ২৬৮)
শরী‘আতের দৃষ্টিতে বিবাহ
ইসলামে বৈরাগ্য জীবন যাপনের কোন অবকাশ নেই। যাদের মনের চাহিদা স্বাভাবিক তাদের জন্য বিবাহ করা সুন্নাতে মুআক্কাদা। আর যাদের মনের চাহিদা এমন যে, বিবাহ না করলে নিজেকে সহজে গুনাহ থেকে বাঁচাতে পারবে না- তাদের জন্য বিবাহ করা ওয়াজিব। আর যে ব্যক্তি নিজের ব্যাপারে এরূপ আশংকা করে যে, সে স্ত্রীর হক আদায় করতে পারবে না, তার জন্য বিবাহ করা হারাম।
(ফাতাওয়ায়ে শামী- ৩/৬ , কাশফুল খফা-২/২৬৮)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন