খলীফা উমর রা. এর কান্না


খলীফা উমর রা. এর কান্না

খলীফাতুল মুসলিমীন হযরত উমর রা. একবার কোন এক ময়দান অতিক্রম করে যাচ্ছিলেন। তাঁর সাথে কজন সাহাবীও ছিলেন। হঠাৎ তিনি ময়দানের মাঝখানে বসে কাঁদতে শুরু করলেন। কান্নার মাঝে হঠাৎ করে আবার হাসতে লাগলেন। সাথিরা আরজ করলেন হে আমীরুল মুমিনীন! আপনি হঠাৎ করে কাঁদতে শুরু করলেন আপনার চোখ দিয়ে অশ্র“ গড়িয়ে পড়ছিল আবার কিছুক্ষণ পর হাসতে লাগলেন। এর রসহ্য কী? দয়া করে আমাদেরকে বিষয়টি খুলে বলুন। হযরত উমর রা. বললেন, একটা ঘটনা স্মরণ করে আমি কাঁদছিলাম। ঘটনাটি হল ছোট বেলায় এই মাঠে আমি উটের রাখালী করতাম। সারা দিন উট আমার গায়ে প্রস্রাব করত আর মাঠের সব ধুলা বালি আমার শরীরে লাগত। এ অবস্থায় সন্ধ্যা বেলা যখন বাড়ি ফিরতাম তখন আমার পিতা এসে আমাকে লাঠি দিয়ে প্রহার করতেন আর বলতেন, তুই উটের রাখালী করতে জানিস না, নাপাকী থেকে নিজেকে পবিত্র রাখতে পারিস না, তুই কী করে খাবি। কিন্তু আজ সে উমর অর্ধ-বিশ্বের রাখালী করছে। একথা বলতে বলতে তিনি চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে আবার কাঁদতে শুরু করলেন।
আজ ভাবতে গেলে হৃদয় স্পন্দন শুরু হয়ে যায় যে, যে মুসলমান অর্ধ-বিশ্ব শাসন করেছে আজ সে মুসলমানদের কি দুর্দশা! আজ তাবৎ দুনিয়ার মুসলমানদের বিপর্যস্ত অবস্থা দেখলে নিজেদেরকে বড় অপরাধী মনে হয়। মনে হয় কোথাও যেন আমাদের বড় ধরনের ত্র“টি রয়ে গেছে যা সংশোধনের চেষ্টাই আমরা করছি না।
সংগ্রহে : নাহিদ হুসাইন, আদমদিঘী, বগুড়া

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়পুর রচনা

সোনারগাঁও রচনা

প্রতীক, সংকেত, যোজনী