নবী-রাসূলগণ মা’ছুম
নবী-রাসূলগণ মা’ছুম তথা পাপমুক্ত
আব্দুল করীম বিন আবু হানিফ
নবী-রাসূলগণ পাপমুক্ত কেন? এই প্রশ্নের
জবাবে হাকীমুল ইসলাম মাওলানা কারী তায়্যিব রহ.-এর বিশে¬ষণ শরহে শামায়েল
গ্রন্থে উদ্ধৃত রয়েছে যে, নবী-রাসূলগণ মা’ছুম বা পাপমুক্ত হওয়ার কারণ
দু’টি : যথা- (১) নবী-রাসূলদের স্বভাব-প্রকৃতি এবং দেহের মূল উপাদান হচ্ছে
পবিত্র জান্নাতি মাটি। তাতে গুনাহ বা পাপের কোন স্পর্শও নেই। পবিত্র হাদীস
শরীফে এসেছে যে, নবীদেরকে সৃষ্টি করা হয় অধিকাংশ জান্নাতি মাটি থেকে। তাই এ
বিষয়টি স্পষ্ট যে, নবীদের দেহের মূল উপাদানের মাঝে জান্নাতের মাটিই
অধিকাংশ এবং দুনিয়ার মাটি যৎসামান্য। জান্নাতের মাটি থেকে অন্য কোন মাটিই
পবিত্র হতে পারে না। দুনিয়ার মাটির মাঝে পঁচা দুর্গন্ধযুক্ত গলিত পাপরাশি
সমেত ময়লার বিরাট অংশ বিদ্যমান। কিন্তু জান্নাতের মাটি পবিত্র, নিষ্কলূস,
পাপরাশি থেকে মুক্ত এবং নুরের জ্যোতি সমৃদ্ধ। মোটকথা নবী-রাসূলদের
দেহাবয়বের মৌলিক সম্পর্ক হচ্ছে সুখময় জান্নাতের দিকে, যেখানে পাপ বা
গুনাহের ছায়াও পড়েনি, আর আমাদের দেহাবয়বের মৌলিক সম্পর্ক হচ্ছে পঁচা
নর্দমাময় দুনিয়ার দিকে। তাই আমরা নিষ্পাপ হতে পারি না। নবীগণ নিষ্পাপ হন।
(২) নবী-রাসূলগণ পাপমুক্ত হওয়ার দ্বিতীয় কারণ এই যে, নবী-রাসূলগণ সর্বাবস্থায় আল¬াহ তায়ালার বড়ত্ব, মহত্ত্ব ও সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করেন। তাদের অন্তর সর্বদা আল¬াহ তায়ালার প্রতি নিমগ্ন এবং তার মুহাব্বতে যেন তারা সর্বাবস্থায় আল¬াহতায়ালার জ্যোতি ও শ্রেষ্ঠত্ব দেখতে পাচ্ছেন। আর এ কথা স্পষ্ট যে, কেউ যদি বাদশার দরবারে যায় আর বাদশাহ তার সামনেই উপস্থিত থাকে, তাহলে কী তার কল্পনাতেও আসবে যে, সে বাদশার বিরোধিতা করবে? বরং ভয় ও ভক্তির সাথে দৃষ্টি ও মনকে অবনত রাখবে। এর কারণ হচ্ছে বাদশা স্বয়ং সামনে উপস্থিত। তাহলে দুনিয়ার সাধারণ একজন বাদশার উপস্থিতির প্রভাব যদি এই হয় যে, তার সামনে অবাধ্যতা বা বেয়াদবী করা যায় না। তাহলে আল্লাহ তায়ালা সর্বদা সবখানে আছেন এবং সবকিছু দেখছেন এমন আক্বীদা যে ব্যক্তির অন্তরে বদ্ধমূল থাকবে তার পক্ষে কীভাবে সম্ভব যে, সে আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী করবে? তার হুকুমের অবাধ্যতা বা তার উদ্দেশ্যের বিপরীত কোন কাজ করবে? একারণেই নবী-রাসূলগণ মা’ছুম তথা নিষ্পাপ।
(২) নবী-রাসূলগণ পাপমুক্ত হওয়ার দ্বিতীয় কারণ এই যে, নবী-রাসূলগণ সর্বাবস্থায় আল¬াহ তায়ালার বড়ত্ব, মহত্ত্ব ও সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করেন। তাদের অন্তর সর্বদা আল¬াহ তায়ালার প্রতি নিমগ্ন এবং তার মুহাব্বতে যেন তারা সর্বাবস্থায় আল¬াহতায়ালার জ্যোতি ও শ্রেষ্ঠত্ব দেখতে পাচ্ছেন। আর এ কথা স্পষ্ট যে, কেউ যদি বাদশার দরবারে যায় আর বাদশাহ তার সামনেই উপস্থিত থাকে, তাহলে কী তার কল্পনাতেও আসবে যে, সে বাদশার বিরোধিতা করবে? বরং ভয় ও ভক্তির সাথে দৃষ্টি ও মনকে অবনত রাখবে। এর কারণ হচ্ছে বাদশা স্বয়ং সামনে উপস্থিত। তাহলে দুনিয়ার সাধারণ একজন বাদশার উপস্থিতির প্রভাব যদি এই হয় যে, তার সামনে অবাধ্যতা বা বেয়াদবী করা যায় না। তাহলে আল্লাহ তায়ালা সর্বদা সবখানে আছেন এবং সবকিছু দেখছেন এমন আক্বীদা যে ব্যক্তির অন্তরে বদ্ধমূল থাকবে তার পক্ষে কীভাবে সম্ভব যে, সে আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী করবে? তার হুকুমের অবাধ্যতা বা তার উদ্দেশ্যের বিপরীত কোন কাজ করবে? একারণেই নবী-রাসূলগণ মা’ছুম তথা নিষ্পাপ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন