কেমন পাত্রী চাই
পাত্র-পাত্রী নির্বাচন
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শরী‘আতের দৃষ্টিতে লক্ষ্যণীয় বুনিয়াদী বিষয় হল দ্বীনদারী। এরপর সৌন্দর্য্য, ধন-সম্পদ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় আনা যায়। এই তিন জিনিষ বা এর কোনটি থাকলে ভাল, না থাকলে কোন ক্ষতি নেই। কেননা, এগুলি ক্ষণস্থায়ী। আজ আছে, কাল নাও থাকতে পারে। পক্ষান্তরে দ্বীনদারী হচ্ছে মানুষের প্রকৃত ও স্থায়ী সম্পদ। যার মধ্যে দ্বীনদারী নেই তার মধ্যে বাকি তিনটি জিনিষ পূর্ণমাত্রায় থাকলেও বলা যায় যে, তার কিছুই নেই। আল্লাহ ও তার রাসুলের তরীকা অনুযায়ী জীবন যাপনকারী সর্বাধিক পছন্দনীয়।(মিশকাত শরীফ- ২/২৬৭)
পাত্র-পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে শরী‘আতের দৃষ্টিতে লক্ষ্যণীয় বুনিয়াদী বিষয় হল দ্বীনদারী। এরপর সৌন্দর্য্য, ধন-সম্পদ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় আনা যায়। এই তিন জিনিষ বা এর কোনটি থাকলে ভাল, না থাকলে কোন ক্ষতি নেই। কেননা, এগুলি ক্ষণস্থায়ী। আজ আছে, কাল নাও থাকতে পারে। পক্ষান্তরে দ্বীনদারী হচ্ছে মানুষের প্রকৃত ও স্থায়ী সম্পদ। যার মধ্যে দ্বীনদারী নেই তার মধ্যে বাকি তিনটি জিনিষ পূর্ণমাত্রায় থাকলেও বলা যায় যে, তার কিছুই নেই। আল্লাহ ও তার রাসুলের তরীকা অনুযায়ী জীবন যাপনকারী সর্বাধিক পছন্দনীয়।(মিশকাত শরীফ- ২/২৬৭)
তাছাড়া পাত্রের মধ্যে দ্বীনদারী না থাকলে তার দ্বারা সঠিকভাবে স্ত্রীর হক আদায়ের আশা করা যায় না। অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে যে, যাদের মধ্যে দ্বীনদারীর অভাব রয়েছে তারা স্ত্রীর কোন হক আদায়ের ব্যাপারে পরোয়া করে না। ছেলের মধ্যে যত যোগ্যতাই থাকুক না কেন, দ্বীনদার না হলে তার সাথে মেয়ের বিবাহ দেয়া উচিৎ নয়। তেমনিভাবে পাত্রীর মধ্যে দ্বীনদারী না থাকলে তার দ্বারা স্বামীর হক আদায়ের আশা করা যায় না, চাই অন্য দিক যতই উন্নত থাকুক না কেন!
পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে অন্য যে বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিৎ, তা হলোঃ এমন বংশের মেয়ে বিবাহ করা বাঞ্ছনীয়, যে বংশের মেয়েরা অধিক সন্তান জন্ম দানে সক্ষম ও অধিক স্বামী ভক্ত। কেননা, কিয়ামতের ময়দানে রাসুলে পাক (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মতের আধিক্য নিয়ে গর্ব করবেন। এজন্য তিনি উম্মতকে এধরনের পাত্রী নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন যারা স্বামীকে মুহব্বত করে এবং বেশী সন্তান জন্মদান করে। সুতরাং প্রচলিত পদ্ধতির জন্মনিয়ন্ত্রন সরাসরি ইসলামের বিরুদ্ধাচরণ এবং আল্লাহকে রিযিকদাতা বলে অবিশ্বাস করার শামিল। হ্যাঁ, ব্যক্তিগত ওজর বা সমস্যার কারণে মুফতিয়ানে কেরামের অভিমত নিয়ে সেই অনুযায়ী আমল করার অবকাশ আছে। (মিশকাত শরীফ-২/২৬৭)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন