পোস্টগুলি

মে, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রোযার নিয়ত

রোযার নিয়ত কি মুখে করা জরুরী?  রমজান মাস আসলেই একটি বিভ্রান্তি আমাদের মধ্যে দেখা যায়। আর তা হলো  রোযার নিয়ত। রোযার নিয়ত নিয়ে অনেকের মধ্যে একটা ভুল ধারণা কাজ করে। অনেকেই মনে করেন, রোযার নিয়ত মুখে করতে হয়। সমাজে যে আরবী নিয়ত প্রচলিত আছে তা বলতে হয়, নইলে কমপক্ষে মুখে এতটুকু বলতে হয় যে, আমি আগামীকাল রোজা রাখার নিয়ত করছি। অন্যথায় নাকি রোযা সহীহ হবে না। তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। রোযার জন্য মৌখিক নিয়ত জরুরি নয়; বরং অন্তরে রোযার সংকল্প করাই যথেষ্ট। এমনকি রোযার উদ্দেশ্যে সাহরী খেলেই রোযার নিয়ত হয়ে যায়। সুতরাং এ কথা ভাবার কোন সুযোগ নেই যে, মুখে রোযার নিয়ত না করলে রোযা হবে না।

তারাবীর নামায বিশ রাকাআত

হাদীস ও সুন্নতের আলোকে তারাবীর নামায বিশ রাকাআত লিখেছেন- মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক  ১. ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের উস্তাদ আবু বকর ইবনে আবী শাইবা  (রহ:) সংকলিত হাদীসগ্রন্হ  “আল-মুসান্নাফ”-এ রয়েছে: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত, “ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে বিশ রাকাআত তারাবীহ এবং বিতর পড়তেন।” -মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ২/২৮৮; আল-মুনতাখাব মিন মুসনাদি আবদ ইবনে হুমাইদ:২১৮, হাদীস ৬৫৩; সুনানে কুবরা, বাইহাকী: ২/৪৯৬; মুজামে কাবীর, তবরানী: ১১/৩১১, হাদীস ১২১০২; মুজামে আওসাত তবরানী : ১/৪৪৪, হাদীস ৮০২ এই হাদীসটিতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তারাবীহ বিশ রাকাআত পড়তেন । লা-মাযহাবী বন্ধুরা এই হাদীস থেকে প্রাণ বাচানোর জন্য দাবী করে বসে যে, হাদীসটি মওযূ। অথচেোন একজন হাদীসের ইমাম বা নির্ভরযোগ্য কোন মুহাদ্দীস হাদীসটিকে মওযূ বলেন নি। বরং সাহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে নিয়ে আজ পর্যন্ত পুরো মুসলিম উম্মত- যাতে অসংখ্য ফকীহ, মুহাদ্দিস অতিক্রান্ত হয়েছে- তারা সবাই এই হাদীসের বক্তব্য  মোতাবেক বিশ রাকাত তারা

রোযার মাসআলা-২

রোযার প্রচলিত কয়েকটি মাসআলা   লিখেছেন - আবুল হাসান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দৈনন্দিন জীবনে চলতে গেলে রমযান মাসে রোজা রাখা  নিয়ে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তার প্ররিপ্রেক্ষিতে কিছু মাসআলা তুলে ধরা হলো। একস্থানে রোযা শুরু করে অন্যস্থানে যাওয়ায় রোযা কম-বেশি হলে ধরে নেওয়া যাক, কোনো ব্যক্তি জাপানে রোযা শুরু করল সেদেশে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে এবং ১৫ রমযান সে সৌদি গিয়ে দেখল ওই দিন ১৭/১৮ রমযান। লোকটি যেদিন সৌদিবাসীর সাথে ঈদ করল তার আগের দিন পর্যন্ত রোযা হয়েছে ২৭ বা ২৮টি। এখন তার করণীয় কী ? এমনিভাবে উদাহরণস্বরূপ, সাউথ আফ্রিকায় রোযা শুরু করে কেউ ইন্দোনেশিয়া চলে গেলে তার রোযা ৩০টি পুরো হওয়ার পরও ইন্দোনেশিয়াবাসীদের সে হয়তো আরো ২টি বা ১টি রোযা রাখতে দেখতে পারে। এক্ষেত্রে লোকটি কত দিন রোযা রাখবে? অর্থাৎ এক দেশে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোযা শুরু করে অন্য দেশে গিয়ে তা সমাপ্ত করলে ওই দেশের চাঁদের হিসাবে রোযার সংখ্যা কমে বা বেড়ে গেলে তখন ঐ রোযাদার ব্যক্তির করণীয় কী? এ প্রশ্নের জবাবের আগে একটি বিষয় জেনে রাখা দরকার যে, চান্দ্রমাসের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সময়কাল হল যথাক্রমে ২৯ ও

রোযার মাসআলা

ছবি
হাদীস ও আছারের আলোকে রোযার মাসআলা মাসআলা : সুস্থমস্তিষ্ক বালিগ মুসলিমের উপর-অসুস্থ ও মুসাফির না হলে-রমযানের রোযা রাখা ফরয। আল্লাহ তাআলা বলেন- يا ايها الذين آمنوا كتب عليكم الصيام كما كتب على الذين من قبلكم لعلكم تتقون. اياما معدودت، فمن كان منكم مريضا او على سفر فعدة من ايام اخر وعلى الذين يطيقونه فدية طعام مسكين، فمن تطوع خيرا فهو خير له، وان تصوموا خير لكم ان كنتم تعلمون. شهر رمضان الذى انزل في القرآن هدى للناس وبينت من الهدى والفرقان، فمن شهد منكم الشهر فليصمه، ومن كان مريضا او على سفر فعدة من ايام اخر يريد الله بكم اليسر ولا يريد بكم العسر، ولتكملوا العدة ولتكبروا الله على ما هدكم ولعلكم تشكرون. (তরজমা) হে মুমিনগণ! তোমাদের প্রতি রোযা ফরয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের প্রতি ফরয করা হয়েছিল, যাতে তোমাদের মধ্যে তাকওয়া সৃষ্টি হয়। গণা-গুনতি কয়েক দিন রোযা রাখতে হবে। তারপরও যদি তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময়ে সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। যারা এর শক্তি রাখে তারা একজন মিসকীনকে খাবার খাইয়ে (রোযার) ফিদয়া আদায় করতে পারবে। এছাড়া ক

জন্মনিয়ন্ত্রন হারাম

জন্ম নিয়ন্ত্রণের যে আন্দোলন ইদানিং খুব জোরে শোরে চলছে, এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আমাদের দেশে কার্যত বাস্তায়ন করার পূর্বে তিনটি কষ্টি পাথর খুব ভালভাবে পরখ করে নেয়া উচিৎ। এক , সর্ব প্রথম আমাদের ভেবে দেখা উচিৎ, যে মতবাদ আমরা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি তা ইসলামের সেসব মূলনীতির বিপরীত তো নয় যা মানব জীবনের সকল ক্ষেত্রে একটি নির্ভরযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ পথের দিশা প্রদান করে। দুই , আমাদের এটাও চিন্তা করা উচিৎ যে এই আন্দোলন বিবেকের বিচারে গ্রহণযোগ্য কিনা? তিন , এরপর আমাদের আশেপাশে দৃষ্টি মেলে দেখা উচিৎ যে এই মতবাদ কোথাও বাস্তÍবায়ন হয়েছে কিনা? যদি কোথাও বাস্তবায়ন হয়ে থাকে তাহলে এর ফলাফল কীরূপ হয়েছিল? তাই আমি জন্ম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে উক্ত তিনটি বিষয়েই আলাদাভাবে স্বারগর্ভ আলোচনা করব। যেন আলোচ্য বিষয়টি সংশয়হীনভাবে বিস্তারিত আমাদের সামনে উঠে আসে। জন্ম নিয়ন্ত্রণের ইসলামী বিধান: ইসলামি শরিয়াতের ভিত্তি হলো পবিত্র কোরআন ও প্রিয় নবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখে নিসৃত বাণী তথা আল-হাদীস। জন্ম নিয়ন্ত্রণ কোন নতুন বিষয় নয় । বরং বিভিন্ন প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পন্থায় সব যুগে, সবদেশ

জুমার সুন্নত নামাজ

জুমার আগের ও পরের সুন্নত নামাজ জুমার সুন্নত নামাজ : আমাদের লামাযহাবী ভাইয়েরা আজকাল কিছু কিছু মিডিয়ায়ও প্রচার শুরু করেছে, জুমআর আগে পরে কোন সুন্নত নাই। তাদেরকে না চেনার কারণে অনেকে  ধোঁকায় পড়ে যাচ্ছে। পূর্বসূরিগণের যুগে এ প্রবণতা ছিলনা। আতা ইবনে আবী রাবাহ র. জুমআর পূর্বে ১২ রাকাত পড়তেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৫৫২১)। এমনিভাবে উমর ইবনে আব্দুল আযীয  র. অন্যদেরকে জুমআর পূর্বে দশ রাকাত পড়ে নিতে বলতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং  ৫৪০৪) যাহোক, জুমআর সুন্নত সম্পর্কে হাদীসগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো: ১. হযরত আবূ হুরায়রা রা. বর্ণনা করেছেন: عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ ্র مَنِ اغْتَسَلَ ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ فَصَلَّى مَا قُدِّرَ لَهُ ثُمَّ أَنْصَتَ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ خُطْبَتِهِ ثُمَّ يُصَلِّىَ مَعَهُ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى وَفَضْلَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ গ্ধ. أخرجه مسلم (٨٥٧) অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি গোসল করলো, অতঃপর জুমআয় আসলো, এবং তৌফিক অনুস

ঈদের সুন্নাত সমূহ

ছবি
ঈদের সুন্নাত সমূহ (১) অন্য দিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া। (বাইহাকী, হাদীস নং- ৬১২৬) (২) মিসওয়াক করা। (তাবঈনুল হাকাইক, ১:৫৩৮) (৩) গোসল করা। (ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ১৩১৫) (৪) শরী‘আতসম্মত সাজসজ্জা করা।(বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৯৪৮) (৫) সামর্থ অনুপাতে উত্তম পোশাক পরিধান করা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৯৪৮/ মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং- ৭৫৬০) (৬) সুগন্ধি ব্যবহার করা। মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং- ৭৫৬০) (৭) ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে মিষ্টি জাতীয় যেমন (খেজুর ইত্যাদি) খাওয়া। তবে ঈদুল আযহাতে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাযের পরে নিজের কুরবানীর গোশত আহার করা উত্তম। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৯৫৩/ তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং- ৫৪২/ দারেমী হাদীস নং- ১৬০৩) (৮) সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ১১৫৭) (৯) ঈদুল ফিতরে ঈদগাহে যাওয়ার পূর্বে ছাদাকায়ে ফিতর আদায় করা। দারাকুতনী, হাদীস নং- ১৬৯৪) (১০) ঈদের নামায ইদগাহে আদায় করা, বিনা অপারগতায় মসজিদে আদায় না করা। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৯৫৬/ আবু দাউদ হাদীস নং- ১১৫৮) (১১) যে রাস্তায় ঈদগাহে যাবে সম্ভব হলে ফিরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। (বুখারী শরীফ, হা

জুমু‘আর দিনের আমল

ছবি
জুমু‘আর দিনের বিশেষ আমল যে ব্যক্তি জুমু‘আর দিনে ছয়টি কাজ করবে, সে জুমু‘আর নামাযের যাওয়ার পথে প্রতি কদমে (পা ফেলায়) এক বছরের নফল নামায ও এক বছরের নফল রোযার সওয়াব পাবে। ছয়টি কাজ এই- ১. জুমু‘আর নামাযের উদ্দেশ্যে ভালভাবে গোসল করা।২. ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে (আযানের অপেক্ষা না করে) মসজিদে যাওয়া। ৩. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। ৪. ইমাম সাহেবের নিকটে বসা। অর্থাত, যতদূর সম্ভব সামনের কাতারে বসা। ৫. মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনা। ৬. খুতবার সময় কোন কথা না বলা ও কোন কাজ না করা। (সহীহ ইবনে খুযাইমাহ, হাদীস নং- ১৭৫৮/ নাসায়ী, হাদীস নং- ১৩৮৪, তিরমিযী, হাদীস নং- ৪৯৬/ আবু দাউদ, হাদীস নং- ৩৪৫) বি.দ্র. কোন সহীহ হাদীসে বর্ণিত আমল ছাড়া অন্য কোন নফল আমলের ব্যাপারে এত বেশি ফযীলতের কথা পাওয়া যায় না। এছাড়াও জুমু‘আর দিনে আরো কিছু আমল করা সুন্নাত। যথা : উত্তম ও পরিষ্কার কাপড় পরিধান করা, আতর লাগানো, সূরায়ে কাহফ তিলাওয়াত করা, বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পড়া, সালাতুত তাসবীহ পড়া, দুই খুতবার মাঝখানে হাত উঠানো ব্যতীত মনে মনে দু‘আকরা, পুরুষ ও মহিলা সকলের জন্য আসরের নামাযের পর নিজ স্থানে বসেই নিচের দরূদ শরীফটি ৮০ বার পাঠ করা। اَلل

নামাযে বসা অবস্থায় ভুল সমূহ

নামাযে বসা অবস্থায় ভুল সমূহ ১. অনেকে দুই সিজদার মাঝে সোজা হয়ে না বসেই আরেক সিজদায় চলে যায়। অথচ এতে ইচ্ছাকৃতভাবে দুটি ওয়াজিব (সিজদা থেকে সোজা হয়ে বসা এবং বসার পর এক তাসবীহ পরিমাণ বিলম্ব করা) তরক করায় নামায নষ্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় নামায পুনরায় পড়া ওয়াজিব। ২. অনেকে দুই সিজদার মাঝে এবং তাশাহুদ (আত্তাহিয়্যাতু) পড়ার সময় ডান পা খাড়া রাখে না, বরং বাঁকা করে রাখে। অথচ তা সুন্নাতের খেলাফ। ৩. দ্বিতীয় সিজদা থেকে উঠার সময় বা মধ্যবর্তী বৈঠক হতে দাঁড়ানোর সময় অনেকে বিনা ওযরে হাত দিয় যমীনে ভর করে দাঁড়ায়। অথচ তা মাকরূহ।

সিজদায় আমরা যেসব ভুল করি

সিজদা অবস্থায় ভুল সমূহ ১. অধিকাংশ লোকই দাঁড়ানো হতে সিজদায় যাওয়ার সময় বিনা ওযরে বুক ও মাথা নীচের দিকে ঝুঁকিয়ে সিজদায় যায়। এটা মারাত্মক ভুল। এতে এক রাকা‘আতে দুই রুকু হয়ে নামায খেলাফে সুন্নাত হয়ে যায়। সিজদায় যাওয়ার সময় হাঁটু মাটিতে লাগার আগ পর্যন্ত বুক ও মাথা সম্পূর্ণ সোজা রাখা উচিত। ২. সিজদায় যাওয়ার সময় বা সিজদা থেকে উঠার সময় অনেকে তাকবীর এক আলিফ থেকে বেশি টানতে থাকে, এটা ভুল। তারতীলের সাথে এক আলিফ লম্বা করা উচিত। ৩. অনেকে সিজদায় গিয়ে দুই হাতের আঙ্গুলসমূহ ছড়িয়ে রাখে। অথচ সিজদায় হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে রাখা সুন্নাত। এরূপ অনেকে হাতের আঙ্গুলসমূহ কান বরাবর রাখে না। বরং আগ-পাছ করে রাখে, এটাও ভুল। ৪. অনেকে সিজদায় উভয় পায়ের মাঝে দাঁড়ানোর ন্যায় চার আঙ্গুল ফাঁক রাখে না এবং আঙ্গুলসমূহ মুড়িয়ে কিবলা মুখী করে উভয় পা খাড়া করে রাখে না বরং উভয় গোড়ালী মিলিয়ে রাখে অথবা পায়ের আঙ্গুলগুলোর মাথা পূর্ব দিকে করে রাখে যা সুন্নাতের খেলাফ। ৫. অনেকে সিজদায় পা যমীন থেকে উঠিয়ে রাখে। অথচ সিজদা আদায় হওয়ার জন্য পা যমীনে লাগিয়ে রাখা জরুরী। ৬. সিজদা অবস্থায় অনেকে উভয় উরু সোজা খাড়া রাখে না। বরং উপরাংশ পূর্বদিকে

নামাযের রুকুতে জেসব ভুল হয়

রুকু অবস্থায় ভুলসমূহ ১. অনেকে রুকুতে গিয়ে মাথা, পিঠ, কোমর বরাবর করে না এবং পিঠ বিছিয়ে রাখে না এবং কেউ মাথা উঁচু করে রাখে, আবার কেউ মাথা নীচু করে রাখে, এসবই মাকরূহ। কেউ পিঠ গোল করে রাখে। অথচ মাথা, পিঠ, কোমর বরাবর রাখা এবং পিঠ বিছিয়ে রাখা সুন্নাত। ২. অনেকে হাঁটু বাঁকা করে তা সামনে বাড়িয়ে রাখে। আবার কেউ এমনভাবে দাঁড়ায় যে, উপরের অংশ পিছের দিকে বাঁকা হয়ে থাকে। উভয় পদ্ধতিই পা সম্পূর্ণ সোজা না থাকায় ভুল। পা সম্পূর্ণ সোজা রাখা সুন্নাত। এর নিয়ম হল শরীরের ভার সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকিয়ে রাখা। ৩. অনেকে রুকু অবস্থায় হাতের আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে রাখে এবং হাতকে হাঁটুর উপর একেবারে হালকাভাবে রেখে দেয়। অথচ পুরুষদের জন্য নিয়ম হল আঙ্গুলসমূহ ফাঁকা রাখা এবং উভয় হাত দ্বারা হাঁটুতে শক্তভাবে ধরা। ৪. অনেকে কনুই বাঁকা করে রাখে, যা ভুল। রুকু অবস্থায় হাত সম্পূর্ণ সোজা রাখতে হয়। ৫. অনেকে কোন রকম রুকুতে গিয়েই তাড়াতাড়ি আবার দাঁড়িয়ে যায়। অথচ নিয়ম হলো রুকুতে গিয়ে ধীরস্থিরভাবে কমপক্ষে তিনবার তাসবীহ পড়ে তারপর দাঁড়ানো। ৬. অনেকে রুকু থেকে সোজা হয়ে হাত ছেড়ে স্থিরভাবে দাঁড়ায় না, বরং সামান্য মাথা উঁচিয়েই সিজদায় চলে

খোঁটা দেওয়ার কুফল

খোঁটা দেওয়ার কুফল ইসলামে পরোপকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটা ঈমানের দাবি এবং আল্লাহ তা‘আলার অত্যন্ত পসন্দনীয় কাজ। এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে- خَيْرُ النَّاسِ أَنْفَعُهُمْ لِلنَّاسِ “ যে ব্যক্তি মানুষের বেশি উপকার করে, সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ ।” মানুষের উপকার করা যায় বিভিন্নভাবে। অর্থ দিয়ে, শক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে এবং বিদ্যা দিয়ে। আল্লাহ তা‘আলা একেকজনকে একেকরকম যোগ্যতা দিয়েছেন। যার যেই যোগ্যতা আছে, সে যদি তার সেই যোগ্যতাকে সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করে, তবেই তার সেই যোগ্যতা সার্থক হয়। এর দ্বারা সে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে সাফল্যমিত হয়। বস্তুত আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে যে-কোনও যোগ্যতা দেনই এজন্যে যে, সে তা মানব-সেবায় নিয়োজিত করে নিজ জীবনকে সফল করে তুলবে। পরোপকার যে পন্থায়ই করা হোক, আল্লাহ তা‘আলার কাছে তা কবুল হওয়া এবং একটি মর্যাদাপূর্ণ কাজরূপে গণ্য হওয়ার জন্য শর্ত হল- ইখলাস থাকা। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে করা এবং পার্থিব কোনও উদ্দেশ্য না থাকা। পার্থিব উদ্দেশ্য বলতে- যার উপকার করা হল তার কাছ থেকে কোনও বদলা পাওয়া কিংবা সুনাম-সুখ্যাতি লাভ করা, সামাজ

তাকবীরে তাহরীমার ক্ষেত্রে কি কি ভুল হয়?

তাকবীরে তাহরীমার ক্ষেত্রে ভুল সমূহ ১. অনেকে তাকবীরে তাহরীমার জন্য হাত উঠানোর সময় মাথা ঝুঁকায়, এটা নাজায়েয। সুন্নাত হলো মাথা সোজা রেখে সিজদার জায়গায় নজর রাখা। (শামী ১ : ৪৪৪) ২. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় পুরুষদের অনেকে চাদরের ভিতর থেকে হাত বের করে না। অথচ পুরুষদের জন্য চাদর থেকে হাত বের করে কান পর্যন্ত উঠানো মুস্তাহাব। তবে মহিলারা কাপড়ের ভিতর হতে হাত বের করবে না। (শামী, ১ : ৪৭৮) ৩. অনেকে হাতের তালু কিবলামুখী করে উঠায় না। বরং হাতের তালু কানমুখী করে দু‘পার্শ্বে উঠিয়ে বা হাতের আঙ্গুলসমূহ কিবলার দিকে বাঁকা করে নিয়ত বাঁধা। এরূপ করা ভুল। ৪. হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কানের লতি পর্যন্ত উঠাতে হয়। অথচ অনেকে তড়িঘড়ি করে হাত সামান্য একটু উঠিয়েই নিয়ত বাঁধে। ৫. আরবী নিয়ত বলতে গিয়ে অনেকে তাকবীরে উলা, আবার অনেকে রুকু পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে। অথচ আরবীতে নিয়ত বলা জরুরী নয়। বরং আরবীতে নিয়ত বলা জরুরী মনে করলে বিদ‘আত হবে। বাংলায় নির্দিষ্ট নামাযের ও ইমামের ইকতিদার নিয়ত করাই মুস্তাহাব আদায়ের জন্য যথেষ্ট। অধিকন্তু শুধু ন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের সংকল্প করার দ্বারাই নিয়ত করার ফরয আদায় হয়ে যায়। নিয়ত মুখে বলা ফরয নয়,

নামাযের কাতারে জেসব ভুল হয়

ছবি
কাতারের ভুলসমূহ ১. দাগের উপরে বা দাগে আঙ্গুল রেখে দাগের পিছনে দাঁড়ানো। নিয়ম হলো দাগের আগে গোড়ালী রেখে উভয় পা কিবলামুখী সোজা করে দাঁড়ানো। ২. কাতার ইমামের ডানে বাড়িয়ে ফেলা। অথচ নিয়ম হলো, ইমামের সোজাসুজি পিছনে একজন দাঁড়িয়ে তাঁর দু’দিক থেকে সমানভাবে কাতারে লোক দাঁড়াবে। কোন দিকে কাতার লম্বা করবে না। (আলমগীরী ১ : ৮৭) ৩. সামনের কাতারে খালি জায়গা রেখে পিছনের কাতারে বসে থাকা বা পিছের কাতারে দাঁড়ানো। নিয়ম হল সবচেয়ে সামনের যে কাতারে খালী পাওয়া যায় সেখানে চলে যাওয়া। (শামী, ১ : ৫৭০) ৪. কাতারে মিলে মিলে না দাঁড়ানো এবং দু’জনের মাঝে এতটুকু ফাঁকা রাখা যার মধ্যে আর একজন দাঁড়াতে পারে।(মাসায়িলে নামায, ৮৭ পৃষ্ঠা) ৫. শেষ কাতারে শুধু একজন দাঁড়ানো। নিয়ম হলো কেউ কাতারে একা হলে, সামনের কাতার হতে মাসআলা জানেন এমন একজন মুসল্লীকে হাতে ধরে পিছনে নিয়ে আসবে, তিনিও সিনা ঠিক রেখে দু-এক কদম হেঁটে পিছের কাতারে আসবেন। মাসআলা জানেন এমন লোক না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে একাই পিছনে দাঁড়াবে। (শামী, ১ : ৫৬৮) ৬. জামা‘আত শুরু হওয়ার পর কাতারে দাঁড়িয়ে সুন্নাত পড়া। নিয়ম হলো ইকামত শুরু হয়ে গেলে একমাত্র ফজরের সুন্নাত ছাড়া অন্

মহিলাদের নামায

ছবি
নারী-পুরুষের শারীরিক গঠন, সক্ষমতা, নিরাপত্তা ইত্যাদি নানা বিষয়ে যেমন পার্থক্য রয়েছে, তেমনি পার্থক্য রয়েছে ইবাদতসহ শরীয়তের অনেক বিষয়ে। যেমন, সতর। পুরুষের সতর হচ্ছে নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত, পক্ষান্তরে পরপুরুষের সামনে মহিলার প্রায় পুরো শরীরই ঢেকে রাখা ফরয। নারী-পুরুষের মাঝে এরকম পার্থক্যসম্বলিত ইবাদতসমূহের অন্যতম হচ্ছে নামায । তাকবীরে তাহরীমার জন্যে হাত উঠানো, হাত বাধা, রুকু, সেজদা, ১ম ও শেষ বৈঠক ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলোতে পুরুষের সাথে নারীর পার্থক্য রয়েছে। তাদের সতরের পরিমান যেহেতু বেশী, তাই যেভাবে তাদের সতর বেশী রক্ষা হয় সেদিকটিও বিবেচনা করা হয়েছে এ ক্ষেত্রগুলোতে । মুসলিম উম্মাহর প্রায় দেড় হাজার বছরের অবিচ্ছিন্ন আমলের ধারা তাই প্রমাণ করে। মহিলাদের নামাযের পার্থক্য ১. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় উভয় হাত কাঁধ পর্যন্ত উঠানো। (তাবারানী কাবীর ২২ : ১৯) ২. হাত কাপড়ের ভিতর হতে বের না করা। (তিরমিযী, হাদীস নং- ১১৭৩) ৩. হাত বুকের উপর রাখা। (শামী, ১ : ৪৮৭) ৪. আঙ্গুলসমূহ মিলিয়ে ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠের উপর স্বাভাবিক রাখা। পুরুষদের মত বাম হাতের কব্জি না ধরা।(ফাতাওয়া রাহীমিয়া, ৭ : ২২২)

মুনাজাতের সুন্নাত

মুনাজাতের সুন্নাত সমূহ ১. উযুর সাথে কিবলামুখী হয়ে দু‘আ করা।মুনাজাতের শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করা এবং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা। (তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৪৭৬) ২. উভয় হাত সিনা বরাবর সামনে রাখা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৩২৩৪) ৩. হাতের তালু আসমানের দিকে প্রশস্ত করে রাখা। (তাবরানী কাবীর, হাদীস নং- ৩৮৪২) ৪. হাতের আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিক ফাঁক রাখা। (হিসনে হাসীন, ২৭) ৫. দু‘হাতের মাঝখানে সামান্য ফাঁক রাখা। (ত্বাহত্বাবী, ২০৫) ৬. মন দিয়ে কাকুতি-মিনতি করে দু‘আ করা। (সূরা আ‘রাফ আয়াত নং-৫৫) ৭. আল্লাহর নিকট দু‘আর বিষয়টি বিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে বারবার চাওয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৬৩৩৮) ৮. ইখলাসের সাথে নিঃশব্দে দু‘আ করা মুস্তাহাব। তবে দু‘আ সম্মিলিতভাবে হলে এবং কারো নামাযে বা ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টির আশংকা না থাকলে, সশব্দে দু‘আকরাও জায়েয আছে। (সূরা আ‘রাফ, ২০৫/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ২৯৯২) ৯. আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা ও দরূদ-সালাম যেমন- ‘সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইয্‌যাতি’ শেষ। পর্যন্ত পড়া ও ‘আমীন’ বলে দু‘আ শেষ করা। (তাবরানী কাবীর, হাদীস নং-৫১২৪/ মুসান্নাফে

নামাযের সুন্নাত

ছবি
নামাযের সুন্নাত সমূহ ক. দাঁড়ানো অবস্থায় সুন্নাত ১১টি ১. উভয় পায়ের আঙ্গুলসমূহ কিবলামুখী করে রাখা এবং উভয় পায়ের মাঝখানে চার আঙ্গুল, উর্ধ্বে এক বিঘত পরিমাণ ফাঁকা রাখা। (নাসায়ী হাদীস নং- ৮৯২/ হিন্দিয়া, ১ : ৭৩) ২. তাকবীরে তাহরীমার সময় চেহারা কিবলার দিকে রেখে নজর সিজদার জায়গায় রাখা এবং হাত উঠানোর সময় মাথা না ঝুঁকানো। (তিরমিযী, হাদীস নং- ৩০৪/ মুস্তাদরাক, ১৭৬১) ৩. উভয় হাত কান পর্যন্ত উঠানো। অর্থাৎ উভয় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা কানের লতি পর্যন্ত উঠানো। (মুসলিম, হাদীস নং- ৩৯১) ৪. হাত উঠানোর সময় আঙ্গুলসমূহ ও হাতের তালু কিবলামুখী রাখা। (তাবরানী আউসাত, হাদীস নং- ৭৮০১) ৫. আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিকভাবে রাখা অর্থাৎ একেবারে মিলিয়েও না রাখা, আবার বেশি ফাঁক ফাঁক করেও না রাখা। (মুস্তাদরাক, হাদীস নং- ৮৫৬) ৬. ইমামের তাকবীরে তাহরীমা বলার পর সাথে সাথে মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা বলা। অবশ্য খেয়াল রাখতে হবে মুক্তাদীর তাকবীরে তাহরীমা যেন ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পূর্বে শেষ না হয়। এরূপ হলে মুক্তাদীর নামায হবে না। (মুসলিম, হাদীস নং ৪১৪, ৪১৫/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৭৩৪) ৭. হাত বাঁধার সময় ডান হাতের তালু বাম

নামাযের ওয়াজিব

ছবি
নামাযের ওয়াজিব ১৪টি ১. সূরা ফাতিহা পূর্ণ পড়া।(বুখারী, হাদীস নং-৭৫৬) ২. সূরা ফাতিহার সঙ্গে অন্য একটি সূরাহ বা ছোট তিন আয়াত পরিমাণ মিলানো। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৭৭৬, মুসলিম, হাদীস নং-৪৫১) ৩. ফরযের প্রথম দুই রাক‘আতকে ক্বিরা‘আতের জন্য নির্দিষ্ট করা। করা।(বুখারী শরীফ, হা নং ৭৭৬/ মুসলিম, হাদীস নং-৪৫১) ৪. সূরা ফাতিহাকে অন্য সূরার আগে পড়া। (তিরমিয়ী, হাদীস নং-২৪৬/ ত্বাহাবী, হাদীস নং-১১৭২) ৫. নামাযের সকল রোকন ধীর স্থিরভাবে আদায় করা। (অর্থাৎ রুকু, সিজদা এবং রুকু থেকে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে ও দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমাণ দেরী করা।) (আবু দাউদ, হাদীস নং-৮৫৬, ৮৫৭, ৮৫৮) ৬. প্রথম বৈঠক করা (অর্থাৎ তিন অথবা চার রাক‘আত বিশিষ্ট নামাযের দুই রাক‘আতের পর বসা)। (বুখারী, হাদীস নং-৮২৮) ৭. উভয় বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৮৩০, ৮৩১/ মুসলিম, হাদীস নং-৪০২, ৪০৩) ৮. প্রত্যেক রাক‘আতের ফরয এবং ওয়াজিবগুলোর তরতীব বা সিরিয়াল ঠিক রাখা। (তিরমিযী, হাদীস নং-৩০২) ৯. ফরয ও ওয়াজিবগুলোকে স্ব স্ব স্থানে আদায় করা। (যেমন দ্বিতীয় সিজদা প্রথম সিজদার সাথে করা। প্রথম বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু শ

জুম্মার দিনের বিশেষ আমল

ছবি
জুম্মার দিনের  বিশেষ আমল আল্লাহতায়ালা নিজেই তার বান্দাদের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নবী করিম (সা.) বলেছেন , ‘ সবচেয়ে ওই ব্যক্তি কৃপন , যে আমার নাম শুনেও দরুদ পড়েনি।’ নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়া আমাদের কর্তব্য। দরুদ পড়লে আমাদেরই লাভ। একবার দরুদ পড়ার জন্য ১০টি রহমত আল্লাহতায়ালা দেবেন। এর মধ্যে শুক্রবারে দরুদ পাঠের রয়েছে আরও বেশি ফজিলত। নিচে এ সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো- হজরত আবু উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম ইরশাদ করেন , ‘ আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ -তারগিব : ১৫৭ হজরত আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত , হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন , ‘ তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কা