ইকামাতের সুন্নাত

ইকামাতের সুন্নাত সমূহ
১. পাক-পবিত্র অবস্থায় ইকামাত দেয়া।
(তিরমিযী, হাদীস নং-২০০)
২. কিবলামুখী হয়ে ইকামাত দেয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রেখে উভয় পা কিবলামুখী করে রাখা।
(আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৯৯/ আদ্‌ দুররুল মুখতার, ১ : ৩৮৯)
৩. ক. ইকামাতে হদর করা অর্থাৎ, প্রথম চার তাকবীর একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং প্রত্যেক তাকবীরের শেষে সাকিন করা।
(তিরমিযী, হাদীস নং-১৯৫)
খ. অতঃপর মাঝের বাক্যগুলোর মধ্যে হতে দুই দুই বাক্য একত্রে এক শ্বাসে বলে থামা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা।
(কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৩২১০)
গ. সর্বশেষ দুই তাকবীরের সাথে ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ মিলিয়ে একত্রে এক শ্বাসে বলা এবং উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।
(মা‘আরিফুস সুনান, ২:১৯৫/ শামী, ১:৩৮৬)
৪. ইকামাতেও আযানের ন্যায় ডান দিকে চেহারা ফিরিয়ে তারপরে ‘হাইয়া আলাস্‌ সালাহ’ বলা। এরপর বাম দিকে চেহারা ফিরিয়ে ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ বলা। (তবে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন
সীনা না ঘুরে এবং চেহারা ঘুরানো শেষ হওয়ার পর (حَيَّ عَلَى الْفَلَاحْ) হাইয়া আলাল ফালাহ বলা শুরু করা।) (মুসলিম, হাদীস নং-৫০৩/ আদ্‌ দুররুল মুখতার, ১ : ৩৮৭)
৫. আযানের জওয়াবের মতই মুসল্লীগণের ইকামাতের জওয়াব দেয়া। তবে ‘ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ’-এর জওয়াবে {اَقَامَهَا اللهُ وَاَدَامَهَا} (আক্বামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা) বলা। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৫২৮)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়পুর রচনা

সোনারগাঁও রচনা

প্রতীক, সংকেত, যোজনী