রানি মৌমাছি আটকা পড়েছে
প্রাণীদের মধ্যে শৃঙ্খলার জন্য বিখ্যাত মৌমাছি। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাদের শৃঙ্খলা ও ঐক্যের প্রশংসা করেছেন। এবার পড়ুন তাদের একটি ব্যতিক্রমী গল্প...
গাড়ির
মধ্যে আটকা পড়েছিল রানি মৌমাছি। তাকে অনুসরণ করে চলল একঝাঁক মৌমাছি। সংখ্যায় তারা প্রায় ২০ হাজার। গাড়ি
থামার পরও ২৪ ঘণ্টার বেশি
সময় ধরে অটল রইল মৌমাছিরা। রানিকে উদ্ধার না করে ফিরে
যাবে না তারা।
গাড়িচালক টম মোজেস প্রথমে খেয়ালই করেননি বিষয়টা, অতিক্রম করে গেছেন দুই মাইল পথ। তিনি ন্যাশনাল পার্কের বনরক্ষক। তাৎক্ষণিক বুঝতে পারলেন, এই মৌমাছিদের সামলানো কঠিন হবে। অগত্যা গাড়ি থামালেন। সবাইকে অক্ষত রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ডাকলেন স্থানীয় মধু সংগ্রাহকদের। তাঁদের কয়েক দফার চেষ্টা ব্যর্থ হলো। অবশেষে এ কাজে সফল হলেন একজন মৌচাষি।
যুক্তরাজ্যের সাউথ ওয়েলস এলাকার ঘটনা এটা। গাড়ির মালিক ক্যারল হাওয়ার্থকে নিয়ে গত রোববার একটি সংরক্ষিত বনে ঘুরতে গিয়েছিলেন টম। তাঁর ভাষ্য, ‘দৃশ্যটা ছিল চমৎকার। গাড়ি চালানোর সময় হঠাৎ দেখতে পাই, পেছনের কাচটায় বাদামি কিসের যেন আবরণ। দেখে মজা পাচ্ছিল লোকজন। আমি গতি কমিয়ে দিই, তারা ছবি তুলতে শুরু করে। তারপর আমার মনে হলো, এই মৌমাছিদের খেপিয়ে দেওয়াটা খুব বোকামি হবে।’
পেমব্রোকশায়ারের মধুচাষি রজার বার্নস বলেন, ‘রানি মৌমাছিটি হয়তো গাড়িটির ভেতরে কোনো খাবার বা মিষ্টিজাতীয় জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল। তখন প্রায় ২০ হাজার মৌমাছি ওই গাড়ির পেছনের আবরণের ওপর বসে পড়ে। রাস্তায় থামানো গাড়িটি থেকে আমি ব্রাশ দিয়ে ঠেলে খুব সাবধানে যত দ্রুত সম্ভব একটি কার্ডবোর্ডের বাক্সে ওই মৌমাছিগুলোকে ভরে ফেলি। ওরা ততক্ষণে আমার গায়ে ১৫-২০টি হুল ফুটিয়ে দেয়। তারপর বাক্সটি নিয়ে একটি ঘরের ছাদে রেখে মুখ খুলে দিই। একে একে সব মৌমাছি উড়ে চলে যায়। তবে রানি মৌমাছির দেখা পাইনি। হয়তো অন্যরা তাকে ঘিরে নিরাপদে সঙ্গে নিয়ে গেছে।’
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন