মুনাজাতের সুন্নাত

মুনাজাতের সুন্নাত সমূহ
১. উযুর সাথে কিবলামুখী হয়ে দু‘আ করা।মুনাজাতের শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করা এবং নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর দরূদ শরীফ পাঠ করা। (তিরমিযী, হাদীস নং- ৩৪৭৬)
২. উভয় হাত সিনা বরাবর সামনে রাখা। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং- ৩২৩৪)
৩. হাতের তালু আসমানের দিকে প্রশস্ত করে রাখা। (তাবরানী কাবীর, হাদীস নং- ৩৮৪২)
৪. হাতের আঙ্গুলসমূহ স্বাভাবিক ফাঁক রাখা। (হিসনে হাসীন, ২৭)
৫. দু‘হাতের মাঝখানে সামান্য ফাঁক রাখা। (ত্বাহত্বাবী, ২০৫)
৬. মন দিয়ে কাকুতি-মিনতি করে দু‘আ করা। (সূরা আ‘রাফ আয়াত নং-৫৫)
৭. আল্লাহর নিকট দু‘আর বিষয়টি বিশ্বাস ও দৃঢ়তার সাথে বারবার চাওয়া। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ৬৩৩৮)
৮. ইখলাসের সাথে নিঃশব্দে দু‘আ করা মুস্তাহাব। তবে দু‘আ সম্মিলিতভাবে হলে এবং কারো নামাযে বা ইবাদতে বিঘ্ন সৃষ্টির আশংকা না থাকলে, সশব্দে দু‘আকরাও জায়েয আছে। (সূরা আ‘রাফ, ২০৫/ বুখারী শরীফ, হাদীস নং- ২৯৯২)
৯. আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা ও দরূদ-সালাম যেমন- ‘সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইয্‌যাতি’ শেষ। পর্যন্ত পড়া ও ‘আমীন’ বলে দু‘আ শেষ করা। (তাবরানী কাবীর, হাদীস নং-৫১২৪/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-৩১১৭/আবু দাউদ, হাদীস নং-৯৩৮)
১০. মুনাজাতের পর হস্তদ্বয় দ্বারা মুখমণ্ডল মুছে নেয়া। (আবু দাউদ, হাদীস নং- ১৪৮৫)
বি.দ্র. ফরয নামাযের পর মুনাজাত করা মুস্তাহাব, সালাম শেষ হওয়ার পরে ইমামের ইকতিদাও শেষ সুতরাং মুনাজাতের মধ্যে ইমামের ইকতিদা নাই।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়পুর রচনা

সোনারগাঁও রচনা

প্রতীক, সংকেত, যোজনী