তাকবীরে তাহরীমার ক্ষেত্রে কি কি ভুল হয়?
তাকবীরে তাহরীমার ক্ষেত্রে ভুল সমূহ
১. অনেকে তাকবীরে তাহরীমার জন্য হাত উঠানোর সময় মাথা ঝুঁকায়, এটা নাজায়েয। সুন্নাত হলো মাথা সোজা রেখে সিজদার জায়গায় নজর রাখা। (শামী ১ : ৪৪৪)
২. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় পুরুষদের অনেকে চাদরের ভিতর থেকে হাত বের করে না। অথচ পুরুষদের জন্য চাদর থেকে হাত বের করে কান পর্যন্ত উঠানো মুস্তাহাব। তবে মহিলারা কাপড়ের ভিতর হতে হাত বের করবে না। (শামী, ১ : ৪৭৮)
৩. অনেকে হাতের তালু কিবলামুখী করে উঠায় না। বরং হাতের তালু কানমুখী করে দু‘পার্শ্বে উঠিয়ে বা হাতের আঙ্গুলসমূহ কিবলার দিকে বাঁকা করে নিয়ত বাঁধা। এরূপ করা ভুল।
৪. হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কানের লতি পর্যন্ত উঠাতে হয়। অথচ অনেকে তড়িঘড়ি করে হাত সামান্য একটু উঠিয়েই নিয়ত বাঁধে।
৫. আরবী নিয়ত বলতে গিয়ে অনেকে তাকবীরে উলা, আবার অনেকে রুকু পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে। অথচ আরবীতে নিয়ত বলা জরুরী নয়। বরং আরবীতে নিয়ত বলা জরুরী মনে করলে বিদ‘আত হবে। বাংলায় নির্দিষ্ট নামাযের ও ইমামের ইকতিদার নিয়ত করাই মুস্তাহাব আদায়ের জন্য যথেষ্ট। অধিকন্তু শুধু ন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের সংকল্প করার দ্বারাই নিয়ত করার ফরয আদায় হয়ে যায়। নিয়ত মুখে বলা ফরয নয়, মুস্তাহাব। সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো, অনেকে আরবী নিয়ত পড়তে যেয়ে সেদিকে অর্থ না বুঝে এত বেশী মনোনিবেশ করে যে, নির্দিষ্ট নামায ও ইমামের ইকতিদার এরাদা বা সংকল্প অন্তরে উপস্থিত থাকেনা সেক্ষেত্রে নিয়ত ফরয এটা না পাওয়ায় তার নামায হয় না।
৬. অনেকে তাকবীরে তাহরীমা ও অন্যান্য তাকবীরে ‘আল্লাহ’ শব্দ এর লামকে এক আলিফের চেয়ে বেশি লম্বা করে থাকে-এটা ভুল। এক আলিফকে এক আলিফই রাখতে হবে। বেশি লম্বা করা অনুচিত।
৭. অনেক সময় ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পূর্বেই অনেকে তাকবীরে তাহরীমা বলে ফেলে। সে ক্ষেত্রে ইমামের আগে যদি মুক্তাদীর তাকবীর শেষ হয়ে যায়, তাহলে তার ইকতিদা ও নামায সহীহ হবে না। পুনরায় তাকবীর বলে তাহরীমা বাঁধতে হবে।
৮. ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধার আগে অনেকে হাত দু’দিকে ছেড়ে দিয়ে ঝুলিয়ে তারপর বাঁধে। এরূপ না করে হাত উঠিয়ে সরাসরি বাঁধাই বাঞ্ছনীয়।
৯. ইমামের তাকবীরের পরে খামাখা তাকবীর বলতে দেরী করা। অথচ ইমামের তাকবীরের পর সাথে সাথেই তাকবীর বলতে হয়।
১. অনেকে তাকবীরে তাহরীমার জন্য হাত উঠানোর সময় মাথা ঝুঁকায়, এটা নাজায়েয। সুন্নাত হলো মাথা সোজা রেখে সিজদার জায়গায় নজর রাখা। (শামী ১ : ৪৪৪)
২. তাকবীরে তাহরীমা বলার সময় পুরুষদের অনেকে চাদরের ভিতর থেকে হাত বের করে না। অথচ পুরুষদের জন্য চাদর থেকে হাত বের করে কান পর্যন্ত উঠানো মুস্তাহাব। তবে মহিলারা কাপড়ের ভিতর হতে হাত বের করবে না। (শামী, ১ : ৪৭৮)
৩. অনেকে হাতের তালু কিবলামুখী করে উঠায় না। বরং হাতের তালু কানমুখী করে দু‘পার্শ্বে উঠিয়ে বা হাতের আঙ্গুলসমূহ কিবলার দিকে বাঁকা করে নিয়ত বাঁধা। এরূপ করা ভুল।
৪. হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি কানের লতি পর্যন্ত উঠাতে হয়। অথচ অনেকে তড়িঘড়ি করে হাত সামান্য একটু উঠিয়েই নিয়ত বাঁধে।
৫. আরবী নিয়ত বলতে গিয়ে অনেকে তাকবীরে উলা, আবার অনেকে রুকু পর্যন্ত হারিয়ে ফেলে। অথচ আরবীতে নিয়ত বলা জরুরী নয়। বরং আরবীতে নিয়ত বলা জরুরী মনে করলে বিদ‘আত হবে। বাংলায় নির্দিষ্ট নামাযের ও ইমামের ইকতিদার নিয়ত করাই মুস্তাহাব আদায়ের জন্য যথেষ্ট। অধিকন্তু শুধু ন্তরে নির্দিষ্ট নামাযের সংকল্প করার দ্বারাই নিয়ত করার ফরয আদায় হয়ে যায়। নিয়ত মুখে বলা ফরয নয়, মুস্তাহাব। সবচেয়ে মারাত্মক বিষয় হলো, অনেকে আরবী নিয়ত পড়তে যেয়ে সেদিকে অর্থ না বুঝে এত বেশী মনোনিবেশ করে যে, নির্দিষ্ট নামায ও ইমামের ইকতিদার এরাদা বা সংকল্প অন্তরে উপস্থিত থাকেনা সেক্ষেত্রে নিয়ত ফরয এটা না পাওয়ায় তার নামায হয় না।
৬. অনেকে তাকবীরে তাহরীমা ও অন্যান্য তাকবীরে ‘আল্লাহ’ শব্দ এর লামকে এক আলিফের চেয়ে বেশি লম্বা করে থাকে-এটা ভুল। এক আলিফকে এক আলিফই রাখতে হবে। বেশি লম্বা করা অনুচিত।
৭. অনেক সময় ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পূর্বেই অনেকে তাকবীরে তাহরীমা বলে ফেলে। সে ক্ষেত্রে ইমামের আগে যদি মুক্তাদীর তাকবীর শেষ হয়ে যায়, তাহলে তার ইকতিদা ও নামায সহীহ হবে না। পুনরায় তাকবীর বলে তাহরীমা বাঁধতে হবে।
৮. ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধার আগে অনেকে হাত দু’দিকে ছেড়ে দিয়ে ঝুলিয়ে তারপর বাঁধে। এরূপ না করে হাত উঠিয়ে সরাসরি বাঁধাই বাঞ্ছনীয়।
৯. ইমামের তাকবীরের পরে খামাখা তাকবীর বলতে দেরী করা। অথচ ইমামের তাকবীরের পর সাথে সাথেই তাকবীর বলতে হয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন