আযানের সুন্নাত
আযানের সুন্নাত সমূহ
১. পাক-পবিত্র অবস্থায় আযান দেয়া।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৭৯৯)
২. কিবলামুখী হয়ে আযান দেয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রেখে কিবলামুখী করে রাখা। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০৭/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৮০২)
৩. ক. প্রথম দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা।
খ. অতঃপর দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা।
বি.দ্র. উল্লেখিত তাকবীরসমূহের প্রত্যেকটির শেষে সাকিন করা, অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবারুল্লাহু আকবার’ এভাবে না বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-২৩৭৭)
গ. অতঃপর মাঝের বাক্যগুলির মধ্য হতে এক একটি বাক্য এক শ্বাসে বলা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা ও থামা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-২৩৭৭)
ঘ. শেষের দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা ও উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।
ঙ. সর্বশেষে লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহ বলে আযান শেষ করা। (নাসায়ী, হাদীস নং-৬৫২)
উল্লেখ্য, এক এক বাক্য বলে থামার পর এ পরিমাণ বিরতি দেয়া, যাতে পঠিত বাক্যটি একবার পড়া যায়; অর্থাৎ শ্রোতাগণ যেন উক্ত সময়ে আযানের জওয়াব দিতে পারেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-২২৩৪)
৪. ডান দিকে চেহারা ফিরানোর পর ‘হাইয়া আলাসসালাহ’ বলা এবং বাম দিকে চেহারা ফিরানোর পর ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ বলা। কিন্তু বুক ও পা কিবলার দিক থেকে ফিরাবে না। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬৩৪)
৫. মহল্লার প্রথম আযান শ্রবণের সাথে সাথে আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত শ্রোতাগণের তিলাওয়াত, যিকির, তাসবীহ ইত্যাদি বন্ধ করে দেয়া।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৮৪৯)
৬. আযানের জওয়াব দেয়া। অর্থাৎ মুআজ্জিনের আযানের বাক্য উচ্চারণের ফাঁকে ফাঁকে শ্রোতাগণের হুবহু আযানের শব্দগুলোই বলা। তবে ‘হাইয়া আলাসসালাহ’ এবং ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ বলার পর জওয়াবে ‘লা -হাউলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলা। আর ফজরের আযানে ‘আসসালাতু খইরুম মিনান নাউম’ এর জওয়াবে ‘সদাক্বতা ওয়া বারারতা’ বলা।
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬১১,৬১৩/ মুসলিম হাদীস নং-৩৮৫)
৭. আযান শেষে দরূদ শরীফ পড়া।
(মুসলিম, হাদীস নং-৩৮৪)
৮. অতঃপর এই দু‘আ পড়া :
اَللّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا
مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ اِنَّكَ لَاتُخْلِفُ الْمِيْعَادْ .
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬১৪, ৪৭১৯/ বাইহাকী হাদীস নং-১৯৩৩)
বি.দ্র. আযানের তাকবীরসমূহ বিশেষত দ্বিতীয় তাকবীর এক আলিফ-এর চেয়ে বেশি লম্বা করা সহীহ নয় এবং আওয়াজের মধ্যে তরঙ্গ সৃষ্টি করা অর্থাৎ, ইচ্ছা পূর্বক আওয়াজ উঁচু-নীচু করা মারাত্মক অন্যায়।
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬০৯/ দারাকুতনী, হাদীস নং-৯০৬/ আদ দুররুল মুখতার, ১ : ৩৮৭)
১. পাক-পবিত্র অবস্থায় আযান দেয়া।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৭৯৯)
২. কিবলামুখী হয়ে আযান দেয়া এবং উভয় পায়ের মাঝে চার আঙ্গুল পরিমাণ ফাঁক রেখে কিবলামুখী করে রাখা। (আবু দাউদ, হাদীস নং-৫০৭/ মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৮০২)
৩. ক. প্রথম দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা।
খ. অতঃপর দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা।
বি.দ্র. উল্লেখিত তাকবীরসমূহের প্রত্যেকটির শেষে সাকিন করা, অর্থাৎ ‘আল্লাহু আকবারুল্লাহু আকবার’ এভাবে না বলা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-২৩৭৭)
গ. অতঃপর মাঝের বাক্যগুলির মধ্য হতে এক একটি বাক্য এক শ্বাসে বলা এবং প্রত্যেক বাক্যের শেষে সাকিন করা ও থামা। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-২৩৭৭)
ঘ. শেষের দুই তাকবীর এক শ্বাসে একত্রে বলে থামা ও উভয় তাকবীরের শেষে সাকিন করা।
ঙ. সর্বশেষে লা-ইলা-হা-ইল্লাল্লাহ বলে আযান শেষ করা। (নাসায়ী, হাদীস নং-৬৫২)
উল্লেখ্য, এক এক বাক্য বলে থামার পর এ পরিমাণ বিরতি দেয়া, যাতে পঠিত বাক্যটি একবার পড়া যায়; অর্থাৎ শ্রোতাগণ যেন উক্ত সময়ে আযানের জওয়াব দিতে পারেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং-২২৩৪)
৪. ডান দিকে চেহারা ফিরানোর পর ‘হাইয়া আলাসসালাহ’ বলা এবং বাম দিকে চেহারা ফিরানোর পর ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ বলা। কিন্তু বুক ও পা কিবলার দিক থেকে ফিরাবে না। (বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬৩৪)
৫. মহল্লার প্রথম আযান শ্রবণের সাথে সাথে আযান শেষ হওয়া পর্যন্ত শ্রোতাগণের তিলাওয়াত, যিকির, তাসবীহ ইত্যাদি বন্ধ করে দেয়া।
(মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৮৪৯)
৬. আযানের জওয়াব দেয়া। অর্থাৎ মুআজ্জিনের আযানের বাক্য উচ্চারণের ফাঁকে ফাঁকে শ্রোতাগণের হুবহু আযানের শব্দগুলোই বলা। তবে ‘হাইয়া আলাসসালাহ’ এবং ‘হাইয়া আলাল ফালাহ্’ বলার পর জওয়াবে ‘লা -হাউলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বলা। আর ফজরের আযানে ‘আসসালাতু খইরুম মিনান নাউম’ এর জওয়াবে ‘সদাক্বতা ওয়া বারারতা’ বলা।
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬১১,৬১৩/ মুসলিম হাদীস নং-৩৮৫)
৭. আযান শেষে দরূদ শরীফ পড়া।
(মুসলিম, হাদীস নং-৩৮৪)
৮. অতঃপর এই দু‘আ পড়া :
اَللّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا
مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ اِنَّكَ لَاتُخْلِفُ الْمِيْعَادْ .
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬১৪, ৪৭১৯/ বাইহাকী হাদীস নং-১৯৩৩)
বি.দ্র. আযানের তাকবীরসমূহ বিশেষত দ্বিতীয় তাকবীর এক আলিফ-এর চেয়ে বেশি লম্বা করা সহীহ নয় এবং আওয়াজের মধ্যে তরঙ্গ সৃষ্টি করা অর্থাৎ, ইচ্ছা পূর্বক আওয়াজ উঁচু-নীচু করা মারাত্মক অন্যায়।
(বুখারী শরীফ, হাদীস নং-৬০৯/ দারাকুতনী, হাদীস নং-৯০৬/ আদ দুররুল মুখতার, ১ : ৩৮৭)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন