ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু উপকুল অতিক্রম করেছে



উপকূল অতিক্রম করার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু; প্রবল বাতাসে গাছ ভেঙে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৫ জনের।
চট্টগ্রাম, ভোলা পটুয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কক্সবাজার, চাঁদপুর, ঝালকাঠি, বরিশালসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ে শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘরবাড়ি সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির খবর এসেছে। এরই মধ্যে যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে উঠেছে এক শিশুর ছবি। ছবিতে দেখা যায়, প্রবল ঝড়ে ভেসে গাছের সাথে মেয়ে শিশুটি নিজেকে বাঁচাতে প্রাণপনে লড়ছে। ছটিবি ভোলা অঞ্চলের হিসেবে জানা গেছে।
ঝড়ো হাওয়ার দাপট শুরু হয়েছিল শনিবার ভোর রাত থেকেই; সেই সঙ্গে বৃষ্টি। বেলা দেড়টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রামের কাছ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। এরপর ঝড়ের দাপট চলে আরও কয়েক ঘণ্টা।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রামে মা-ছেলেসহ ১১ জন, নোয়াখালীর হাতিয়ায় জোয়ারে ভেসে মা-মেয়েসহ তিনজন ফেনীর সোনাগাজীতে এক রাখাল, কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় চাপা পড়ে নৌকার ধাক্কায় তিনজন, ভোলার তজমুদ্দিন দৌলতখানে ঘরচাপা পড়ে তিনজন, পটুয়াখালীর দশমিনায় এক বৃদ্ধা এবং লক্ষ্মীপুর সদরে গাছ উপড়ে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর কারণে মৃতের এই সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে গত তিন বছরে আঘাত হানা প্রায় একই শক্তির দুই ঘূর্ণিঝড়কোমেনমহাসেন মৃতের সংখ্যাকেও।
গত বছরের জুলাইয়ে প্রায় একই শক্তির ঘূর্ণিঝড়কোমেনএর আঘাতে কক্সবাজার, পটুয়াখালী, ভোলা নোয়াখালীতে চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
আর ২০১৩ সালের মে মাসে আঘাত হানা একই মাত্রার ঘূর্ণিঝড়মহাসেন প্রাণ যায় ১২ জনের। এর মধ্যে বরগুনায় পাঁচজন, পটুয়াখালীতে তিন ভোলায় চারজন নিহত হয় বলে জানা যায়।


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়পুর রচনা

সোনারগাঁও রচনা

প্রতীক, সংকেত, যোজনী