জুমার সুন্নত নামাজ

জুমার আগের ও পরের সুন্নত নামাজ

জুমার সুন্নত নামাজ:
আমাদের লামাযহাবী ভাইয়েরা আজকাল কিছু কিছু মিডিয়ায়ও প্রচার শুরু করেছে, জুমআর আগে পরে কোন সুন্নত নাই। তাদেরকে না চেনার কারণে অনেকে  ধোঁকায় পড়ে যাচ্ছে। পূর্বসূরিগণের যুগে এ প্রবণতা ছিলনা।
আতা ইবনে আবী রাবাহ র. জুমআর পূর্বে ১২ রাকাত পড়তেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৫৫২১)।
এমনিভাবে উমর ইবনে আব্দুল আযীয  র. অন্যদেরকে জুমআর পূর্বে দশ রাকাত পড়ে নিতে বলতেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং  ৫৪০৪)
যাহোক, জুমআর সুন্নত সম্পর্কে হাদীসগুলো নিম্নে তুলে ধরা হলো:
১. হযরত আবূ হুরায়রা রা. বর্ণনা করেছেন:
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ ্র مَنِ اغْتَسَلَ ثُمَّ أَتَى الْجُمُعَةَ فَصَلَّى مَا قُدِّرَ لَهُ ثُمَّ أَنْصَتَ حَتَّى يَفْرُغَ مِنْ خُطْبَتِهِ ثُمَّ يُصَلِّىَ مَعَهُ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الأُخْرَى وَفَضْلَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ গ্ধ. أخرجه مسلم (٨٥٧)
অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি গোসল করলো, অতঃপর জুমআয় আসলো, এবং তৌফিক অনুসারে  নামায পড়লো, এরপর ইমাম খুতবা শেষ করা পর্যন্ত চুপ রইলো এবং তার সঙ্গে নামায আদায় করলো তার পরবর্তী জুমআ  পর্যন্ত এবং আরো অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হবে।
মুসলিম শরীফ, হাদীস নং  ৮৫৭।

২. হযরত আবূ হুরায়রা রা. বলেছেন,
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- ্র إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمُ الْجُمُعَةَ فَلْيُصَلِّ بَعْدَهَا أَرْبَعًا গ্ধ. أخرجه مسلم ( الصلاة بعد الجمعة ، ٨٨١) وفيه :قال سهيل: فإن عجل بك شيئ فصل ركعتين في المسجد وركعتين إذا رجعت.
অর্থ: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন জুমআ (ফরজ) পড়ে তখন সে যেন ‘বা’দাল জুমআ’ চার রাকাত পড়ে নেয়।
মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৮৮১।
সুহায়ল র. বলেন, ত্বরা থাকলে মসজিদে দুই রাকাত, ঘরে ফিরে দুই রাকাত পড়ো।

৩. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত,
عَنْ ابن عمر أَنَّ النَّبِىَّ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ يُصَلِّى بَعْدَ الْجُمُعَةِ رَكْعَتَيْنِ. أخرجه الجماعة.
অর্থ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  জুমআর পরে দুই রাকাত পড়তেন।
বুখারী শরীফ, হাদীস নং ৯৩৭; মুসলিম শরীফ, হাদীস নং ৮৮২; আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ১১৩২; তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং ৫২১; নাসাঈ শরীফ, হাদীস নং ১৪২৮; ইবনে মাজাহ শরীফ, হাদীস নং ১১৩১।

৪. হযরত ইবনে উমর রা. সম্পর্কে আতা র. বলেছেন,
كَانَ إِذَا كَانَ بِمَكَّةَ فَصَلَّى الْجُمُعَةَ تَقَدَّمَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ تَقَدَّمَ فَصَلَّى أَرْبَعًا وَإِذَا كَانَ بِالْمَدِينَةِ صَلَّى الْجُمُعَةَ ثُمَّ رَجَعَ إِلَى بَيْتِهِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَلَمْ يُصَلِّ فِى الْمَسْجِدِ فَقِيلَ لَهُ فَقَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَفْعَلُ ذَلِكَ. أخرجه أبو داود (١١٣٠ ) وقال العراقي: إسناده صحيح. آثار السنن صـ ٣٠٢
অর্থ: তিনি যখন মক্কা শরীফে অবস্থান করতেন এবং জুমআর নামায পড়তেন, তখন সামনে অগ্রসর হয়ে দুই রাকাত পড়তেন, এরপর আরেকটু অগ্রসর হয়ে চার রাকাত পড়তেন। আর যখন মদীনা শরীফে জুমআ আদায় করতেন তখন ঘরে ফিরে গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন। মসজিদে পড়তেননা। তাকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এমনই করতেন।
আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ১১৩০; আল্লামা ইরাকী বলেছেন, এর সনদ সহীহ।

৫. আতা র. বলেন,
عن عَطَاءٌ أَنَّهُ رَأَى ابْنَ عُمَرَ يُصَلِّى بَعْدَ الْجُمُعَةِ فَيَنْمَازُ عَنْ مُصَلاَّهُ الَّذِى صَلَّى فِيهِ الْجُمُعَةَ قَلِيلاً غَيْرَ كَثِيرٍ قَالَ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ قَالَ ثُمَّ يَمْشِى أَنْفَسَ مِنْ ذَلِكَ فَيَرْكَعُ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ قُلْتُ لِعَطَاءٍ كَمْ رَأَيْتَ ابْنَ عُمَرَ يَصْنَعُ ذَلِكَ قَالَ مِرَارًا. أخرجه أبو  داود (١١٣٣ -الصلاة بعد الجمعة) وأصل الحديث في الترمذي أيضا باب الصلاة قبل الجمعة وبعدها.
অর্থ: তিনি হযরত ইবনে উমর রা.কে দেখেছেন, তিনি জুমআর নামাযের পর মুসল্লা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই রাকাত পড়লেন। এরপর আরেকটু সরে চার রাকাত পড়লেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আতা র.কে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি হযরত ইবনে উমর রা. কে কতবার এমন করতে দেখেছেন? তিনি বললেন, অনেকবার।
আবূ দাউদ শরীফ, হাদীস নং ১১৩৩।

৬. জাবালা ইবনে সুহায়ম র. হযরত ইবনে উমর রা. সম্পর্কে বলেছেন,
عن عبد الله بن عمر رضي الله عنهما أنه كان يصلى قبل الجمعة أربعا لا يفصل بينهن بسلام ثم بعد الجمعة ركعتين ثم أربعا. أخرجه الطحاوي إسناده صحيح (آثار السنن)
অর্থ: তিনি ‘কাবলাল জুমআ’ (জুমআর পূর্বে) চার রাকাত পড়তেন। মাঝখানে সালাম ফেরাতেন না। জুমআর ফরজের পর তিনি প্রথমত দুই রাকাত পরে চার রাকাত পড়তেন।
তাহাবী শরীফ। এর সনদ সহীহ।

৭. নাফে র. বলেন,
كان ابن عمر يهجر يوم الجمعة فيطيل الصلاة قبل أن يخرج الامام . أخرجه ابن أبي شيبة (٥٤٠٣) وفي رواية أبي داود(١١٢٨) كان يطيل الصلاة قبل الجمعة ويصلي بعدها ركعتين في بيته.
অর্থ : হযরত ইবনে উমর রা. জুমআর অনেক আগেই মসজিদে চলে যেতেন এবং ইমাম বের হয়ে আসা পর্যন্ত লম্বা নামায পড়তেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং  ৫৪০৩।
আবূ দাউদ শরীফে আছে, তিনি জুমআর পূর্বে লম্বা নামায পড়তেন এবং জুমআর পর ঘরে গিয়ে দুই রাকাত পড়তেন।

৮. কাতাদা র. বলেন,
أن ابن مسعود كان يصلي قبل الجمعة أربع ركعات وبعدها أربع ركعات ، قال أبو إسحاق : وكان على يصلي بعد الجمعة ست ركعات  ، وبه يأخذ عبد الرزاق . أخرجه عبد الرزاق (٥٥٢٤) ورواه الطبراني وإسناده صحيح قاله النيموي في آثار السنن.
অর্থ: হযরত ইবনে মাসউদ রা. কাবলাল জুমআ চার রাকাত ও বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়তেন। আবূ ইসহাক র. বলেন, হযরত আলী রা. বা’দাল জুমআ ছয় রাকাত পড়তেন। আব্দুর রাযযাক র. এ অনুসারেই আমল করতেন।
মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং৫৫২৪। তাবারানী শরীফ। এর সনদ সহীহ।

৯. আবূ আব্দুর রহমান সুলামী র. বলেন,
كان عبد الله يأمرنا أن نصلي قبل الجمعة أربعا ، وبعدها أربعا ، حتى جاءنا علي فأمرنا أن نصلي بعدها ركعتين ثم أربعا . أخرجه عبد الرزاق (٥٥٢٥) وإسناده صحيح.
অর্থ : আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. আমাদেরকে কাবলাল জুমআ চার রাকাত, বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়ার নির্দেশ দিতেন। অবশেষে হযরত আলী রা. যখন আমাদের এখানে (কূফায়) আসলেন, তখন তিনি আমাদেরকে বা’দাল জুমআ দুই রাকাত তারপর চার রাকাত (মোট ছয় রাকাত) পড়ার আদেশ দিয়েছেন।
মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৫৫২৫। এন সনদ সহীহ।

১০. আবূ আব্দুর রহমান র. বলেন,
قدم علينا ابن مسعود فكان يأمرنا أن نصلي بعد الجمعة أربعا فلما قدم علي أمرنا أن نصلي ستا فأخذ بقول علي وتركنا قول عبد الله. رواه ابن أبي شيبة (٥٤١٠) ورواه الطحاوي وإسناده صحيح.(آثار السنن)
অর্থ : হযরত ইবনে মাসউদ রা. আমাদের নিকট (কূফায়) আসলেন। তিনি আমাদেরকে বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়ার নির্দেশ দিতেন। অতঃপর যখন হযরত আলী রা. আমাদের নিকট আসলেন, তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন ছয় রাকাত পড়তে। আমরা তখন হযরত আলী রা. নির্দেশ গ্রহণ করলাম এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. এর কথা ছেড়ে দিলাম।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৫৪১০; তাহাবী শরীফ, এর সনদ সহীহ।
চিন্তা করুন, এক সাহাবীর আদেশে দীর্ঘদিন চার রাকাত পড়ে আসলেও আরেকজনের নির্দেশে তারা সেটা ছেড়ে দিয়ে ছয় রাকাত পড়তে লাগলেন তারা একথা বলেননি, জুমআর আগে-পরেতো কোন সুন্নত নাই। তাই, আমরা এটা পড়বোনা। আব্দুর রাযযাক র.ও তো আহলে হাদীস ও মুহাদ্দিস ছিলেন। তিনিই বা ছয় রাকাতকে অবলম্বন করলেন কেন? এসব থেকেও কি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর আমল ও শিক্ষা প্রমাণিত হয় না? সুন্নত যদি নাই থাকে  তবে হযরত ইবনে মাসউদ রা. ও হযরত আলী রা. আদেশ দিবেন কেন?

১১. আবূ বকর র. তদীয় পিতা আবূ মূসা আশআরী রা. সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন,
كان يصلي بعد الجمعة ست ركعات .أخرجه ابن أبي شيبة (٥٤٠٣)
অর্থ: তিনি বা’দাল জুমআ ছয় রাকাত পড়তেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং  ৫৪১৩।

১২. মুহাম্মদ ইবনে সীরীন র. বা অন্য কেউ বর্ণনা করেছেন ,
أن عمران بن حصين صلى مع زياد الجمعة ، ثم قام فصلى بعدها أربعا ،
أخرجه عبد الرزاق (٥٥٢٥)
অর্থ: হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রা. যিয়াদের সঙ্গে জুমআ আদায় করলেন, অতঃপর দাঁড়িয়ে গেলেন এবং বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়লেন।
মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস নং ৫৫৩০।

১৩. ইবরাহীম নাখায়ী র. বলেন,
كانوا يصلون قبلها أربعا وبعدها أربعا .أخرجه ابن أبي شيبة (٥٤٠٥،٥٤٢٢)
অর্থ: সাহাবায়ে কেরাম কাবলাল জুমআ চার রাকাত, বা’দাল জুমআ চার রাকাত পড়তেন।
মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং  ৫৪০৫,৫৪২২।

১৪. হযরত আলী রা. বলেছেন,
من كان مصليا بعد الجمعة فليصل ستا. أخرجه الطحاوي وإسناده صحيح (آثار السنن)
অর্থ: যে ব্যক্তি জুমআর পরে নামায পড়বে সে যেন ছয় রাকাত পড়ে।
তাহাবী শরীফ। এর সনদ সহীহ।
হাফেজ ইবনে তায়মিয়া র. বলেছেন,
وصح أنه صلى الله عليه وسلم قال من كان مصليا بعد الجمعة فليصل أربعا وروى الست ركعات عن طائفة من الصحابة رضي الله عنهم
অর্থাৎ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  থেকে সহীহ সনদে এসেছে, তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি বা’দাল জুমআ পড়বে, সে যেন চার রাকাত পড়ে। আর অনেক সাহাবী  থেকে ছয় রাকাতের কথাও বর্ণিত রয়েছে।
অনেকে আবার জুমআর সুন্নতকে জোহরের আগে-পরের সুন্নতের উপর কিয়াস করেছেন। ইমাম বুখারী র.ও তাই করেছেন। তিনি জুমআর পূর্বের ও পরের নামায অনুচ্ছেদে জোহরের পূর্বাপর সুন্নতের হাদীসটি উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, জোহরে যেমন সুন্নত আছে, জুমআরও তেমনই সুন্নত আছে। ইমাম নববীও এভাবেই কেয়াস করেছেন।
শায়খ মুহাম্মদ আওওয়ামা মাদ্দা জিল্লুহু আরেকভাবে জুমআর পূর্বে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এর চার রাকাত পড়ার কথা প্রমাণ করেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনুস সাইব রা. এর বর্ণিত হাদীসে আছে:
أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصلي أربعا بعد أن تزول الشمس قبل الظهر – أي :قبل صلاة فريضتها – وقال أنها ساعة تفتح فيها أبواب السماء وأحب أن يصعد لي فيها عمل صالح. أخرجه أحمد ٣/٤١١ والترمذي (٤٧٨) وهذا المعني مذكور في حديث أبي أيوب عند ابن أبي شيبة (٥٩٩٢) ولفظه: أن أبواب الجنة تفتح عند زوال الشمس.
অর্থাৎ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  সূর্য ঢলে যাওয়ার পর জোহরের পূর্বে – অর্থাৎ জোহরের ফরজ পড়ার পূর্বে – চার রাকাত নামায পড়তেন। তিনি বলেছেন, এ সময়টায় আসমানের দ্বার খোলা হয়। আর এ সময় আমার নেক আমল উপরে উঠুক, আমি  তা পছন্দ করি। মুসনাদে আহমদ, ৩/৪১১; তিরমিযী শরীফ, হাদীস নং ৪৭৮। হযরত আবূ আইয়্যুব রা. এর হাদীসেও অনুরূপ বক্তব্য পাওয়া যায়। সেখানে বলা হয়েছে- সূর্য ঢলার সময় জান্নাতের দরজা খোলা হয়। মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস নং ৫৯৯২।
হাদীস দুইটির সনদ সম্পর্কে শায়খ লেখেন,
فحديث أبي أيوب وحده بطرقه قوي وحديث عبد الله بن السائب كذلك حسن لذاته فازداد قوة.
অর্থাৎ  শুধু আবূ আইয়্যূব রা. এর হাদীসটি তার সূত্রগুলোসহ বেশ মজবুত। আর আব্দুল্লাহ ইবনুস সাইব রা. এর হাদীসটি  حسن لذاته । সুতরাং এতে আরো শক্তি বেড়ে গেল। পরিশেষে শায়খ বলেন,
فهذا المعنى هو حجة لمن يقول بسنية أربع ركعات قبل فرض الجمعة لأن فتح أبواب السماء أو الجنة مناط بزوال الشمس وهذا متحقق في يوم الجمعة وغيره. (المصنف لابن أبي شيبة: ٣/١١٥-١١٦)
অর্থাৎ  যারা জুমআর ফরজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নতের কথা বলেন এ হাদীসটিই তার প্রমাণ । কেননা আসমান কিংবা জান্নাতের দরজা খোলাটা সূর্য ঢলার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর এ অবস্থা জুমআর দিন ও অন্যান্য দিনে সমানভাবে বিদ্যমান।
দ্র, মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বার টীকা, ৩খ, ১১৫-১১৬পৃ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়পুর রচনা

সোনারগাঁও রচনা

প্রতীক, সংকেত, যোজনী