জুম্মার দিনের বিশেষ আমল



জুম্মার দিনের  বিশেষ আমল



আল্লাহতায়ালা নিজেই তার বান্দাদের নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ ও সালাম পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যদিকে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে ওই ব্যক্তি কৃপন, যে আমার নাম শুনেও দরুদ পড়েনি।’
নবী করিম (সা.)-এর ওপর দরুদ পড়া আমাদের কর্তব্য। দরুদ পড়লে আমাদেরই লাভ। একবার দরুদ পড়ার জন্য ১০টি রহমত আল্লাহতায়ালা দেবেন। এর মধ্যে শুক্রবারে দরুদ পাঠের রয়েছে আরও বেশি ফজিলত। নিচে এ সংক্রান্ত কয়েকটি হাদিস তুলে ধরা হলো-
হজরত আবু উমামা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ -তারগিব : ১৫৭
হজরত আনাস রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ জিবরাঈল আলাইহিস সালাম এইমাত্র আল্লাহতায়ালার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পাঠ করে আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে।’ -তারগিব : ৩/২৯৯
হজরত আবু হুরায়রা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমার ওপর দরুদ পাঠ করা পুলসিরাত পার হওয়ার সময় আলো হবে। যে ব্যক্তি জুমার দিন ৮০ বার দরুদ পড়ে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।’
অন্য রেওয়াতে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর নিজ স্থান থেকে ওঠার আগে ৮০ বার এই দরুদ শরিফ পাঠ করে-আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিইয়্যিল উম্মিইয়ি ওয়া আলা আলিহি ওয়া আস হাবিহি ওয়াসাল্লিমু তাসলিমা’। তার ৮০ বছরের পাপ ক্ষমা হয়ে যায় এবং ৮০ বছরের ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হয়।’ -আফজালুস সালাওয়াত : ২৬
হজরত আলি রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ -কানজুল উম্মাল : ১৭৪
হজরত আবু দারদা রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমার ওপর জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ এ হলো এমন মোবারক দিন; যে দিনে ফেরেশতারা উপস্থিত হয়। যখন কোনো ব্যক্তি আমার ওপর দরুদ পাঠ করে ওই দরুদ সে পড়ার আগেই আমার কাছে আনীত হয়। আমি আরজ করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার ইন্তেকালের পরেও কি আপনার কাছে আনীত হবে? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ইন্তেকালের পরেও। আল্লাহতায়ালা জমিনের জন্য সব নবীর দেহ হারাম করে দিয়েছেন।’ -তারগিব : ৩/৩০৩
আল্লাহতায়ালা প্রত্যেক মুসলমানকে নবীর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন। আমিন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পাহাড়পুর রচনা

সোনারগাঁও রচনা

প্রতীক, সংকেত, যোজনী